Pages

ব্ল্যাক হোলের অন্ধকার রহস্যন্মোচন!(BRIEFING THE BLACK HOLE)

আমরা সবাই স্পেস কে চিনি বা নাই চিনি ব্ল্যাক হোল এর এক অন্ধকার রহস্যে আমরা সবাই একে জানার জন্য উপছে পড়ি আর জেনেও নি হালকাভাবে!


প্রকারভেদটা জানার আগে আরেকবার বেসিকটা ক্লিয়ার করে নাও!


 ওকে এখন তোমরা ভালো ভাবেই ব্ল্যাক হোল এর সাইন্স জানো। এবার মূল আলোচনায় আসা যাক।
এই ব্ল্যাক হোল ও আবার কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে এবং এই বিষয় অতি সম্প্রতিই আমরা জানতে পেরেছি।আর তোমাদেরকে এই বিষয়টি জানাতে মাহমুদের লেখা এই পোস্ট মোক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী।
পড়ার পর কেমন লাগে তা কিন্তু জানাবা আর কোন প্রশ্ন থাকলে স্বকাতরচিত্তে জিজ্ঞাসা করবা!

ব্ল্যাকহোল কত প্রকার?

ব্ল্যাকহোল ৩ প্রকার

প্রাইমোডিয়াল ব্ল্যাকহোল।
নাক্ষত্রিক ব্ল্যাকহোল।
সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল।
 Primordial Black Hole!

প্রাইমোডিয়াল ব্ল্যকহোলঃ-


মহাকর্ষীয় সংকোচনের ফলে সিঙ্গুলারিটিরর ঘনত্ব অনেক বেশী হয়। বিগ ব্যাং এর সময় মহাবিশ্বের ঘনত্ব ছিল অনেক বেশী।তাই এই সময় ব্ল্যাকহে তৈরি হওয়া সম্ভব।১৯৭১ সালে হকিং দেখান যে ব্ল্যাকহোল সূর্যের ভরের আাইতে কমও হতে পারে। বিগব্যাং এর সময় কয়েক কেজি ভর থেকে কয়েক হাজার সৌর ভরের ব্ল্যাকহোল তৈরি হওয়া সম্ভব। তবে হিসাবমতে ১হাজার১১কেজির থেকে কম ভরের সব ব্ল্যাকহোল ইতিমধ্যে হকিং রেডিয়েশনে বিলীন হয়ে গেছে।
Stellar Black Hole!
নাক্ষত্রিক ব্ল্যালহোলঃ-

ব্ল্যাকহোলের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত প্রকার হচ্ছে তারা থেকে বিবর্তিত ব্ল্যাকহোলেরা।  যেগুলো হাইড্রোজেন ফিউশনের মধ্যেমে তৈরি হয় তাদেরকে নক্ষএ বলা হয়। অর্থ্যৎ হাইড্রোজেন হল জ্বালানি এবং হিলিয়াম হল উৎপাদক। মহাকর্ষ বলের জন্য এদের তাপমাএা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। একসময় সেগুলো নিউক্লিক ফিউশন বিক্রিয়ায় তাপমাএার জন্য পৌছাঁয়।তখন হাউড্রোজেন এবং নিউক্লিয়াস পরষ্পরের সাথে যুক্ত হতে থাকে। ফলে এদের অভ্যন্তর থেকে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। তারার নিজের ভরের জন্য মহাকর্ষ বল বল কেন্দ্রের দিকে টানে। ফলে সাম্যাবস্তা পাওয়ার জন্য স্থির হারে শক্তি নির্গত করতে থাকে। এমন অবস্থায় তারাকে বলা হয় মেইন সিকুয়েন্স স্টার।
সাধারণ অবস্থায় এর ভেতরে নিউক্লিয় ফিউশন হয় না। ফলে একসময় তারা গুলো তাদের নিজেদের সব জজ্বালানি শেষ করে ফেলে। এর ফলে কোন বহির্মূখী চাপ মহাকর্ষ বলকে বাধা দিতে পারে না। তাই মহাকর্ষ তারাকে সংকুচিত করে ফেলে। ০.৫ এর তারা গুলো বামন তারতে রূপান্তরিত হয়। ০.৫-১০ সৌরভরের তারা গুলোতে বেশ তাপমাএা বেড়ে যায় এবং হিলিয়ামের ফিউশন শুরু হয়ে যায়। এদের এ সময় লাল দানবের মত দেখায়। লাল দানবে লোহা পর্যন্ত চলতে শুরু করে। এরা নিবুলা বা বামন গ্রহে পরিণত হয়। এক সময় নিউক্লিক ফিউশন চলা বন্ধ হয়ে যায় এবং সুপারনোভা বিষ্পোরণ হয়ে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সুপারনোভা বিষ্পোরণে যে অংশটুকু অবশিষ্ট থাকে তার ভর যদি ১.৪ সৌরভরের চেয়ে বেশী হয় তখন তারাটির মধ্যেবর্তী ইলেক্ট্রনের ডিজেনারেসি সংকোচনে বাধা দিতে পারে না। ফলে ইলেক্ট্রন ও প্রোটনে যক্ত হয়ে নিউট্রনে পরিণত হয়। এ সময় এ তারাদের বলা হয় নিউট্রন স্টার।
Supermassive Black Hole!
সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলঃ-

পৃথিবীর ভরের প্রায় ৩৩৩০০০ হাজার গুণ ভর সূর্যের। সূর্যের ভরকে সৌরভর বলা হয়। সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল গুলো কয়েক লক্ষ থেকে কয়েক শত কোটি সৌরভরের পর্যন্ত হতে পারে। এগুলো মূলত পাওয়া যায় গ্যালাক্সির ভেতরে। প্রত্যেকটি গ্যালাক্সির মধ্যে একটি করে ব্ল্যাকহোল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে যে ব্ল্যাকহোল রয়েছে তার নাম স্যাজিটেরিয়াস এ স্টার।যার ভর মোটামুটি ৪১ লক্ষ সৌরভর। এ ধরণের ব্ল্যাকহেল গুলো কিভাবে তৈরি হয় তা এখনো সুনির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া যায় নি।
তবে বিজ্ঞানিরা মনে করেন এগুলি বিগ ব্যাং এর সময় তৈরি হয়েছিল।
আর ব্ল্যাক্ন হোলে যদি ঘুরে আসতে চাও তবে এই লোকটার সঙ্গী হতে পার!
জোক করছিলাম!এতা অসম্ভব!

ধন্যবাদ 
Written By:Mahmud
Edited By:Myin Uddin

No comments

Theme images by sololos. Powered by Blogger.