Showing posts with label Astronomy. Show all posts
Showing posts with label Astronomy. Show all posts

Sunday, July 28, 2019

নিকোলাস কোপার্নিকাস-আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক


আমার প্রিয় বিজ্ঞানী-নিকোলাস কোপার্নিকাস


আমার প্রিয় বিজ্ঞানী আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক নিকোলাস কোপার্নিকাস,আইন্সটাইন যাকে বলেছেন "আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের পথিকৃৎ" কারণ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সম্ভব হয়েছে কেপলার,গ্যালিলিও,নিউটনের যুগান্তকারী আবিষ্কারসমূহ যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যযুগীয় ভ্রান্ত ধারণা মুছে দিয়ে জ্ঞানবিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটায় যা Copernican Revolution নামে বিজ্ঞানের ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।
কোপার্নিকান এর অবদানেই আমরা পেয়ে যায় আমাদের সৌরজগতের আসল পরিচয় Heliocentric Model,পৃথিবীর ও অন্যান্য গ্রহ-উপগেহের গতিপথের ধরন,পৃথিবী থেকে অন্যান্য গ্রহসমূহের দূরত্ব,পৃথিবীর অক্ষীয় ঘূর্ণন ইত্যাদি।


Heliocentric(সৌরকেন্দ্রীক) vs Geocentric(ভূকেন্দ্রীক)
তিনিই এই সত্য বের করতে পেরেছিলেন যে,পৃথিবী নয় বরং সূর্যই কেন্দ্রে এবং অন্যান্য সব গ্রহ একে কেন্দ্র করে ঘুরে।এই সত্য তিনি প্রথম তার বই "Commentariolus" এ ১৫১৪ সালে প্রকাশ করেন।কোপার্নিকাস এর আগে  যদিও আরিস্টাকাস 'সৌরমডেল' এর ধারণা দিয়েছিলেন তবে তার চেয়ে কোপার্নিকাস এর হিসেবনিকেশ সুক্ষ্ম ও নির্ভুল ছিলো।অনেক উপহাসের স্বীকার এবং হুমকির স্বীকার হয়ে তিনি তার যুগান্তকারী দ্বিতীয় বইটি "De revolutionibus orbium coelestium" প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছিলেন কারণ সৌরকেন্দ্রিক মডেল বাইবেল বিরোধী!১৫৪৩ সালে জানের ভয় নিয়ে এক প্রকাশক বইটি প্রকাশ করেন উপরে এটা লিখে দিয়ে,
"বইটি সম্পূর্ণ সত্য নয় কেবল ব্যক্তিগত অনুমানের উপর লিখিত।"
অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছিল কারণ এ সময় বাইবেলের বিরুদ্ধে যাওয়া মানে নিশ্চিত মৃত্যু।পরে অবশ্য মানুষ তার বইয়ের আসল পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাই।বইটি ছাপা হয়ে যখন তার হাতে আসে তখন তিনি মৃত্যুশয্যায়,পড়তে পারেননি কিছুক্ষণ নড়াচড়া করেই এর কয়েক ঘণ্টা পর মারা যান ৭০ বছর বয়সের এই মহান বিজ্ঞানী!


তার লেখা ৪০ পৃষ্ঠার অপর একটি বই "Sketch of Hypothesis" কে তার প্রদত্ত মহাবিশ্বের মডেলের সারকথা হিসেবে উল্লেখ করা হয়,এটাও ১৫১৪ সালে প্রকাশিত হয়।তবে তার মৃত্যুর পর পর প্রায় ৩০০ বছরের জন্য রোমান শাসক তার বইকে নিষিদ্ধ করে রেখেছিলো।
কোপারনিকাস এর আবিষ্কার তথা পর্যবেক্ষণ মহাবিশ্বের প্রতি আমাদের ধারণা পালটে দেয়।তবে তার একটি ধারণা ভুল ছিলো সেটা হলো, গ্রহ-উপগ্রহ সমূহ সম্পূর্ণ বৃত্তীয় পথে আবর্তন করে যদিও কেপলার পরবর্তীতে এটি শুধরে দেন যে,বৃত্তীয় নয় বরং উপবৃত্তাকার কক্ষপথেই জ্যোতিষ্কসমূহের আবর্তন সম্পন্ন হয়।
তবে তার প্রদত্ত Cosmological Principal বিজ্ঞানের এক অনন্য প্রাপ্তি যেটি 'Genuine Copernican Cosmological Principle' নামে পরিচিত;যেখানে বলা হয়েছে-"যেকোন গ্রহ থেকেই দেখা হোক না কেন মহাবিশ্বকে সবদিকথেকে মোটামুটি একই দেখাবে যেটিকে আরেকটু বুঝিয়ে বললে দ্বারাই মহাবিশ্ব দিকনিরপেক্ষ বা সবদিক থেকে একই।"

অর্থনীতিতে কোপার্নিকাসের অবদান এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।যথাক্রমে ১৫১৭ ও ১৫১৯ সালে তিনি অর্থনীতির একটি মূল ধারণা "Quantity Theory Of Money" এবং "Gresham’s Law" এর ধারণা দেন।

বিচিত্র বিষয়ে তার পাণ্ডিত্য ছিলো।তিনি অধ্যয়ন করেছেন মূলত ধর্মশাস্ত্র,গণিতশাস্ত্র,জ্যোতির্বিদ্যা এবং চিকিৎসাশাস্ত্র।তিনি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং কিছুদিন অধ্যাপনাও করেছেন কিন্তু তৎকালীন ভূকেন্দ্রীক মডেল তার ভুল মনে হচ্ছিলো তাই শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে এসে নিরলস পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার পর তা লিপিবদ্ধ করেন যা এক নতুন যুগ সৃষ্টি করে।


'কোপার্নিক' শব্দের অর্থ বিনয়ী,তিনি সত্তিই খুব বিনয়ী ছিলেন।জ্যোতির্বিদ ছাড়াও তিনি ছিলেন দক্ষগণিতজ্ঞ,শিক্ষক,সরকারের উপদেষ্টা,অর্থনীতিবিদ,চিকিৎসক এবং সমাজকর্মী।তার জন্ম ও মৃত্যু পোল্যান্ড যথাক্রমে ১৪৭৩ ও ১৫৪৩ সালে।অবিবাহিত এই মহান বিজ্ঞানীর  কোন স্ত্রী পুত্র ছিলো না।
তার একটি বিখ্যাত উক্তি হলো-
"To know that we know what we know, and to know that we do not know what we do not know,that is true knowledge."
(Nicolaus Copernicus)

Wednesday, December 26, 2018

মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধানঃSurely We Are Not Alone!

"Some where in the COSMOS there are some Aliens living in an Strange Extraterrestrial Planet"
প্রাণ কী কেবল পৃথিবীতেই আছে নাকি মহাবিশ্বের বিশালতায় লুকিয়ে আছে?এমন রোমাঞ্চকর প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর পাবেন পাঁচ পর্বের এই আর্টিকেলে।পড়তে থাকুন, ধন্যবাদ।



⭕ মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধানঃ-পর্ব-১

মহাবিশ্বের বিশালতা আমাদের আন্দাজের বাইরে।সেই মহাবিশ্বের মধ্যে কত ক্ষুদ্র এই আকাশগংগা,ত সৌরজগৎ।আর পৃথিবীতো ধারণার বাইরে।এই বিশালতার মধ্যে শুধু কি ক্ষুদ্রতর এই পৃথিবী তেই প্রাণ আছে???

এই প্রশ্ন খুব পুরনো। কিন্তু উত্তর অস্পষ্ট। এই পৃথিবীর বাইরে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা থেকেই উদ্ভব >বহির্জাগতিক প্রাণ< শব্দটির।
বহির্জাগতিক প্রাণ (Extraterrestrial life) বলতে সেই জীবদের বোঝানো হয়, যাদের উদ্ভব এই পৃথিবীতে হয়নি বরং পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের অন্য কোথাও হয়েছে। বিশ্বের বাইরে প্রাণের অস্তিত্ব আছে বলে অনেক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন আর এই দাবি নিয়ে অনেক বিতর্কও রয়েছে। বর্হিজাগতিক প্রাণের অস্তিত্বের কথা বর্তমানে কেবল কাল্পনিক, কারণ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের বাইরে এই পর্যন্ত কোন জীবাণু অথবা অতি হ্মুদ্র জীবাণু আছে বলে, পরিষ্কার প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবুও অনেক বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে, এদের অস্তিত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু উল্কাপিণ্ডতে অতি প্রাথমিক ক্ষুদ্র জীবাণুর ছাপের মত কিছু একটা দেখা গিয়েছে, কিন্তু পরীক্ষার প্রমাণ এখনও চূড়ান্ত নয়। 
বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর বাইরে কিছু স্থান আছে যেখানে প্রাণ বিকশিত করতে পারে, অথবা আমাদের পৃথিবীর মত জীবন বর্তমান।
কিছু গ্রহকে স্পষ্টভাবে তাদের নক্ষত্রের কাছে বাসযোগ্য অঞ্চল পাওয়া গিয়েছে এবং সেখানে পানি থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে।
পৃথিবীর অনেক দেশের জনগণের মধ্যে দেখা রহস্যময় বিভিন্ন অশনাক্ত উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফও এর প্রতিবেদনগুলো বহির্জাগতিক প্রাণকে নির্দেশ করে।
>ড্রাক আন্দাজ< সমীকরণটি ব্যবহার হিসাব করতে গিয়ে বের করেছিল যে, আকাশগঙ্গাতে প্রায় ১০,০০০ গ্রহ আছে যাতে বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ত্ব আছে। পৃথিবীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার সম্ভবনাও অনেক।
পর্যাপ্ত প্রমাণের ঘাটতি এই বহির্জাগতিক প্রাণ থাকার সম্ভাবনা কে বিতর্কিত করে তুলেছে।তবে অধিকাংশের মতেই এর খোজ পাবার সম্ভাবনা ব্যাপক।

🔰তথ্যসূত্র
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Extraterrestrial_life



⭕ মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধানঃ-পর্ব-২

এই পর্ব দিয়ে শুরু করবো সম্ভাব্য বাসযোগ্য প্রাণমন্ডলে অবস্থিত বহিঃগ্রহের (habitable exoplanet) আলোচনা।
Planet:KEPLER-452b
গ্রহ:কেপলার-৪৫২ বি
দুরত্ব(from solar system ):১৪০০ ly
ভর:পৃথিবীর ৫ গুণ
ব্যাসার্ধ:পৃথিবী থেকে ৫০% বেশি
প্রদক্ষিন কাল: ৩৮৫ দিন 
নক্ষত্র থেকে গড় দুরত্ব:১.০৪ AU
হোস্ট স্টার:কেপলার ৪৫২
তাপমাত্রা:প্রায় সূর্যের সমান
ব্যাস:সূর্য থেকে ১০% বেশি
বয়স:৬ বিলিয়ন বছর 

২০১৫ সালের ২৩শে জুলাই, নাসার ওয়েবসাইটে একটা নতুন গ্রহ আবিষ্কার নিয়ে লেখা হয়।গ্রহটি কেপলার ৪৫২বি।গ্রহটিকে Earth 2.0 ডাকা হয়।যাকে বলে ২য় পৃথিবী। অনেকে বলে পৃথিবীর মাসতুতো ভাই।যাই হোক একে এমন ডাকার কারণ ও আছে বটে।এটির অবস্থান কেপলার ৪৫২ এর Habitable zone এ।
Habitable zone কি?
প্রাণের উৎপত্তি ও টিকে থাকার জন্য পানি প্রয়োজন। আর তাই নক্ষত্র থেকে গ্রহের দূরত্ব এমন হতে হবে, যেখানে পানির তরল অবস্থা সম্ভব। সেটাকেই Goldilock বা Habitable zone বলে।
এর আগেও হ্যাবিটেবল জোনের মধ্যে বেশ কিছু গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু কেপলার-৪৫২বি এর বৈশিষ্ট্যগুলো আরো বেশি আকর্ষণীয়। এখন পর্যন্ত নক্ষত্রের বাসোপযুক্ত সীমার মধ্যে যতগুলো গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে ছোট। ধারণা করা হয় গ্রহটি পাথুরে,স্থলজ এবং পানি ও আছে। এর নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণকাল পৃথিবী থেকে ৫% বেশি।এখানে পৃথিবীর চেয়ে অধিকতর ঘন বায়ুমণ্ডল আর সক্রিয় আগ্নেয়গিরি থাকার সম্ভাবনা আছে।
জন জেনকিন্স,যিনি কেপলার ৪৫২-বি এর আবিষ্কারক দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁর মতে আমরা কেপলার-৪৫২বি কে পৃথিবীর কাজিন হিসেবে চিন্তা করতে পারি, যার বয়স পৃথিবীর চেয়ে একটু বেশি, আকারেও সে পৃথিবীর চেয়ে একটু বড়। আমাদের পৃথিবীর ক্রমাগত পরিবর্তনশীল পরিবেশকে বোঝার জন্য এটি অনেক বড় একটা সুযোগ। চিন্তা করে দেখলে আপনি আশ্চর্য হতে বাধ্য যে কেপলার-৪৫২বি তার নিজের নক্ষত্রের বাসোপযুক্ত সীমার মধ্যে ৬ বিলিয়ন বছর কাটিয়েছে, যা পৃথিবীর চেয়েও ১.৫ বিলিয়ন বছর বেশি। তাই এতে প্রাণের উৎপত্তি আর বেড়ে ওঠার সব উপাদান আর প্রাণের বিবর্তনের উপযোগী পরিবেশ থাকতেই পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায় হয়তোবা সেই গ্রহটিতে প্রাণ থাকতে পারে।
wait,wait, wait আমাদের তো তার কাছাকাছি পৌছাতে হবে বিশদভাবে জানতে হলে।
নিউ হরাইজন, যার গতি ৫৯০০০ কি:মি/ঘন্টা।সেই গতিতে গেলেও সেখানে যেতে লাগবে ১৪ মিলিয়ন বছর।
তবে হয়তো ১দিন এমন কিছু আবিষ্কৃত হবে যা দ্বারা আমরা সেখানে অভিযান চালাতে পারবো।হয়তো আমরা না, আমাদের পরের কোনো জেনারেশনের মানুষ।

🔰তথ্যসূত্র https://bigganjatra.org/earth-cousin-kepler452b/
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Kepler-452b



⭕ মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধানঃ-পর্ব-৩


পূর্ববর্তী পর্বে আলোচনা করেছি কেপলার ৪৫২বি নিয়ে।এই পর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো গ্লিজ-৬৬৭ সি c নিয়ে।

GLIESE-667C c
গ্রহ:গ্লিজ ৬৬৭ সি c 
দুরত্ব(from earth):23.62 ly প্রায়
অবস্থান :Scorpius নক্ষত্রমন্ডল
প্রদক্ষিনকাল:২৮ দিন
হোস্ট স্টার-গ্লিজ ৬৬৭ সি
তাপমাত্রা:৩৭০০ কে
বয়স:
ধরণ:red dwarf star

২১ শে নভেম্বর ২০১১ সালে ইউরোপ এর (HARPS)কর্তৃক আবিষ্কৃত হয় গ্রহটি।এটি ২৩ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।গ্লিজ ৬৬৭ নামক ত্রিপল স্টার সিস্টেম এর গ্লিজ ৬৬৭ সি নক্ষত্রের বাসযোগ্য স্থানে বা প্রাণমন্ডলে এর অবস্থান।অনেক habitable planet এর মধ্যে একে ৪থ earth like planet হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

গ্রহটি tidally locked.অর্থাৎ এর একদিক নক্ষত্রের দিকে মুখ করা। অন্যদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। এই দুই দিকের মাঝামাঝি দিকে এর তাপমাত্রা ২৭৩ K হওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক। এই তাপমাত্রা থাকায় গ্রহটিতে পানি থাকার সম্ভাবনা ও ব্যাপক।তাছাড়া পৃথিবী সূর্যের থেকে যে পরিমাণ আলো পায়, গ্লিজ ৬৬৭সি c ও তার নক্ষত্র থেকে এর ৯০% পায়।যা পানি থাকার জন্য উপযুক্ত।তাছাড়া এর বায়ুমন্ডল ও অন্যান্য দিক বিবেচনা করে অনেকেই বিশ্বাস করেন এতে প্রাণ ধারণ সম্ভব কিংবা প্রাণ এর অস্তিত্ব থাকতে ও পারে।তবে প্রমাণ না থাকায় এটি বিতর্কিত।

প্রাণ ধারণের অনুকুলতার পাশাপাশি এতে প্রতিকুলতাও আছে।কেপলার ৪৫২ বি এর থেকে এর অবস্থান অনেক কাছে।তাই কোনো একদিন হয়তো এতে অভিযান ও চালানো হবে।
এরকরম অনেক প্রাণমন্ডলে অবস্থিত গ্রহ প্রতিনিয়ত আবিষ্কার হচ্ছে, যা বহির্জাগতিক প্রাণ খুজে পাওয়ার সম্ভাবনাকে আরো গ্রহণ যোগ্য করে তুলেছে।
বিস্তারিত জানতে সূত্রসমূহে ভিজিট করুন।
এই গ্রহ সম্পর্কিত প্রশ্ন করতে পারেন।উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
পরের পর্বে অন্য এক প্রাণমন্ডলে অবস্থিত গ্রহ নিয়ে আলোচনা করবো।

🔰তথ্যসূত্র:
https://www.mn.uio.no/astro/english/research/news-and-events/news/astronews-2012-02-17.html
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Gliese_667_Cc


⭕ মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধানঃ-পর্ব-৪

TRAPPIST-1system
২০১৫ সালে চিলির কিছু গবেষক আবিষ্কার করেন একটা নক্ষত্রকে ঘিরে ৩ টি আবর্তমান গ্রহ।এটির নামকরণ করা হয় খ্রিষ্টান দেবতাদের নামানুসারে ট্রাপিস্ট-১ সিস্টেম।
পরে ২০১৭ সালের ২২ শে ফেব্রুয়ারি নাসা থেকে জানা যায় আরও ৪টা গ্রহ একে কেন্দ্র করে ঘুরছে এবং সে ৭ টির মধ্যে নুন্যতম ৩ টি প্রাণমন্ডলে অবস্থিত। অনেক পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশন এ এই সম্পর্কে প্রচার ও হয়।

ট্রাপিস্ট-১ এর গ্রহ গুলোর নামকরণ করা হয় ট্রাপিস্ট-১ এ,বি,সি,ডি,ই,এফ,জী।
ট্রাপিস্ট-১
দুরত্ব :৩৯ আলোকবর্ষ (১২ পারসেক)
অবস্থান :কুম্ভ তারকামন্ডল(Aquarius)
হোস্ট স্টার:ট্রাপিস্ট-১
ভর:সূর্যের ৮%
ব্যাসার্ধ :১১ %
ধরণ:ultra cool red dwarf

নক্ষত্রটির বৈশিষ্ট্য দেখে এর প্লেনেটারি সিস্টেম থাকাটা অবাক ছিল।
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন এর গ্রহ গুলোর ৩/৪ টা পাথুরে,স্থলজ ও সমুদ্রাবৃত।
পানি থাকার প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ৩১ আগস্ট স্পাইটজার স্পেস টেলিস্কোপ দারা।তারপর একে একে জানা যায় এদের মধ্যে ই, এফ, জী তে বায়ুমণ্ডল থাকার সম্ভাবনা।
নভেম্বর ২০১৮ সালে প্লেনেটারি সিস্টেম এর** ই** গ্রহটি সম্পর্কে গবেষকরা বলেন,"ই গ্রহটি সেরা আমাদের পরবর্তী সকল গবেষনা চালানোর জন্য"।তাছাড়া ভেরি লার্জ টেলিস্কোপ ও স্পাইটজার স্পেস টেলিস্কোপ আরো গবেষণা চালাচ্ছে।
৩৯ আলোকবর্ষ তুলনা মুলক কম হওয়ায় এতে আরো অভিযান চালানোর সম্ভাবনা ব্যাপক।
পানি, স্থলজ ও বায়ুমন্ডল এর দিক বিবেচনা করলে এটি হয়তো এক সম্ভাবনাময় প্লেনেটারি সিস্টেম।

🔰তথ্যসূত্র:
http://www.kalerkantho.com/amp/print-edition/last-page/2017/02/24/467190
https://bigganbortika.org/trappist-1/
https://en.m.wikipedia.org/wiki/TRAPPIST-1e
https://en.m.wikipedia.org/wiki/TRAPPIST-1



⭕ মহাবিশ্বে প্রাণের সন্ধানঃ-পর্ব-৫

আগের পর্বগুলোতে কিছু বহি:গ্রহ(exoplanet)এবং প্লেনেটারি সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেছি।

ঘুরে ফিরে এক ই কথা কেপলার ৪৫২ বি, গ্লিজ ৬৭৭সি সি,ট্রাপিস্ট-১.... বৈশিষ্ট্য গত ভাবে ভিন্ন হলেও শেষমেষ হয়তো,সম্ভাবনা আছে,may be এই সব শব্দ ব্যবহার।
কিন্তু কতটুকু সম্ভাবনা আছে???বহির্জাগতিক প্রাণ পাবার কিংবা প্রাণযোগ্য কোনো প্রশ্নহীন গ্রহ পাবার???
(SETI) তাদের নিরন্তর গবেষনা ও নানান অভিযান চালচ্ছে ভিনগ্রহে প্রাণ খোজার জন্য ও বাসোপযোগী গ্রহ এর সন্ধানে।১৯৬০ সাল থেকে বর্তমানে পেয়েছে অনেক বিস্ময়কর তথ্য ও।Wow! সিগনাল তার মধ্যে অন্যতম।যার মানে এখনো উদঘাটন হয়নি।তাছাড়া আরো অভিযান চালাচ্ছে SETI.
আর্জেন্টিনার বিরূপ পরিবেশে ব্যাকটেরিয়ার বেচে থাকা আরো বিস্ময়কর। এমনকি অক্সিজেনহীন পরিবেশে বেচে থাকারর নিদর্শন ও আছে।শুধু হাইড্রোজেন এ বেচে থাকা আমাদের বলে ভিনগ্রহে অক্সিজেন থাকতে হবে তা নয়। তাছাড়া ও জীব থাকতে পারে।

গবেষকদের মতে আমাদের আকাশগঙ্গাতেই রয়েছে কয়েকহাজার এর অধিক প্রাণমন্ডলে অবস্থিত গ্রহ।তবে আবিষ্কৃত সকল এর ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা থাকলেও তা পুরোপুরিভাবে নিশ্চিত হয়ে বলা জায় নি।
আমরা মঙল এ কত অভিযান চালাচ্ছি প্রাণের খোজ করতে কারণ তা খুব কাছে।মঙ্গল এর চেয়ে অনেক গুণ সম্ভাবনাময় গ্রহ তে অভিযান চালানো যাচ্ছে না দুরত্বের কারণে।তবে একসময় মঙ্গল এ অভিযান কাল্পনিক ছিল।আজ তা সম্ভব হয়েছে।একদিন খুব দুর দুরান্তে ও অভিযান চালানো যাবে।
আমরা নাকি মহাবিশ্বের এক নগন্য অংশ explore করেছি। তাতেই আমরা পেয়েছি Alpha centauri b এর মত মাত্র ৪ আলোকবর্ষ দুরের হ্যাবিটেবল প্লেনেট।কিংবা কেপলার ১৮৬বি এবং আরো অনেক হ্যাবিটেবল প্লেনেট।
তাছাড়া পূর্ববর্তী পোস্ট গুলোতে এ উল্লেখিত গ্রহ গুলো কত সম্ভাবনাময়।
যদি আমরা চিন্তা করি যে, ১৯৯৫ সালে যেখানে প্রথম habitable exoplanet আবিষ্কৃত হয়।তার ২০/২৫ বছরেই আমরা পেয়েছি কত সম্ভাবনাময় গ্রহ।
আরো সামনে উন্নত হবে প্রযুক্তি এবং আমাদের খোজার ধরণ ও বদলাবে,তখন হয়তো এমন কোনো গ্রহের খোজ পাবো যে গ্রহ অনেক গ্রহণযোগ্য হবে প্রাণ থাকার বা প্রাণ ধারণ করার।

তাছাড়া অনেকে বিভিন্ন আবিষ্কার এর ক্ষেত্রে কুরআন এর ইংগিত থাকলে তাকে বিশ্বাসযযোগ্য মনে করেন তার একজন আমি ও।
কুরআন এর ৪২:২৯ এ আছে মহান আল্লাহ আকাশ এবং যমীনের মাঝে এই দুইয়ের মধ্যখানে অনেক জায়গাতেই জীব জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন।

এক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস মহাবিশ্বের কোটি কোটি গ্যালাক্সির অগনিত নক্ষত্রের অগণিত গ্রহের মধ্যে একমাত্র একটি গ্রহেই প্রাণ থাকবে এটি বেমানান। আরো অনেক পৃথিবী(এর ন্যায় গ্রহ) আছে এই মহাবিশ্বে।এবং একদিন প্রমাণ ও পাওয়া যাবে।
🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫🎫

লেখকঃ-সজীব হোসেন
এডিটরঃ-মাঈন উদ্দিন

Tuesday, August 7, 2018

The SPITZER-"অদম্য স্পিটজারের গল্প"

Spitzer Space Telescope 

অদম্য স্পিটজারের গল্প!

ট্রাপিস্ট -১  স্টার সিস্টেমের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? হ্যাঁ, এই স্টার সিস্টেমই সাম্প্রতিক সময়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করেছে! ট্রাপিস্ট-১ কে কেন্দ্র করে যে ৭টি গ্রহ ঘুরছে, তার মধ্যে ৩টিই রয়েছে হ্যাবিটেশনাল জোনে। ফলে এখানে সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে কোনো প্রাণের কিংবা মানবজাতির ভবিষ্যৎ আন্তঃনাক্ষত্রিক যাত্রার একটি গন্তব্য হতে পারে স্টার সিস্টেম।

এই আবিষ্কারের নেপথ্যে যে মহানায়ক ছিল, তার নাম স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ! ৭২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২০০৩ সালের ২৫ আগস্টে নাসার গ্রেট অবজারভেশান প্রোগ্রামের ৪র্থ এবং শেষ মিশন হিসেবে স্পিটজারকে ফ্লোরিডার কেপ কেনারেভাল স্পেস সেন্টার থেকে ডেল্টা-২ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়।

অবলাল রশ্মি ক্যাপচার করে তাপীয় উৎস, অবলাল রশ্মি ( infrared ray ) নির্গত করে এমন মহাজাগতিক বস্তুর বর্ণালীবীক্ষণ করা এবং ছবি তোলা ছিল ১৮৭৭ পাউন্ডের টেলিস্কোপটির প্রধান কর্মযজ্ঞ! সাধারণত মহাকাশ থেকে অবলাল রশ্মি পৃথিবীতে আসতে আসতে বায়ুমণ্ডলেই বেশিরভাগ শোষিত হয়ে যায়। তাই স্পিটজারের মতো স্পেস টেলিস্কোপ তৈরি করা জ্যোতির্বিদদের কাছে খুবই দরকারি ছিল।

নাসা ঐতিহ্যগতভাবেই প্রত্যেকটা স্পেস টেলিস্কোপের নামকরণ কোনো বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নামে করে। স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপের নামকরণ করা হয় জ্যোতির্বিদ লেম্যান স্পিটজারের নামে। ১৯৪০ সালের দিকে লেম্যান স্পেস টেলিস্কোপের ধারণা দেন। রকেট সায়েন্স এবং জ্যোতির্বিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এই প্রতিভাবান!

স্পিটজারের মিশন ব্যাপ্তিকালের পরিকল্পনা করা হয় ২.৫ থেকে ৫ বছরের জন্য। প্রাথমিক মিশন চলে ৫ বছর, ৮ মাস, ১৯ দিন পর্যন্ত! স্পিটজারের অনুসূর ও অপসূর যথাক্রমে ১.০০৩ এবং ১.০২৬ জ্যোতির্বিদ্যার একক।

ইনফ্রারেড অ্যারে ক্যামেরা, ইনফ্রারেড স্পেক্ট্রোগ্রাফ এবং মাল্টিব্যান্ড ইমেজিং ফটোমিটার  নিয়ে স্পিটজারের কাজ করার জন্য প্রয়োজন ছিল প্রায় -১৬৮° সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা বজায় রাখতে ব্যবহৃত হতো তরল হিলিয়াম গ্যাস। ১৫ মে, ২০০৯ সালে তরল হিলিয়ামের সরবরাহ শেষ হয়ে যায়। মহাবিপদ! এদিকে বিজ্ঞানীদেরও স্পিটজার মিশনের ব্যাপ্তিকাল প্রসারিত করবার ইচ্ছে। 
জ্যোতির্বিদরা অসাধারণ একটি পরিকল্পনা করলো। পরিকল্পিত এই মিশনের নাম দেওয়া হলো স্পিটজার ওয়ার্ম মিশন। উপযুক্ত তাপমাত্রার অভাবে আগেই বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ অচল হয়ে গিয়েছিল। তবে নিম্ন তাপমাত্রায় তারা দুটি ইনফ্রারেড অ্যারে ক্যামেরাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছিল। 
প্রায় সকল গ্রহই সব ধরণের আলো শোষণ করলেও বেশিরভাগ বিকিরণ করে অবলোহিত আলোয়। তাই এক্সোপ্ল্যানেট হান্টে স্পিটজার দারুণভাবে সফল হয়! এছাড়াও গ্যালাক্সি, নেবুলা, নক্ষত্রদের অবলাল আলোয় অপূর্ব ছবি তুলে ইনফ্রারেড এস্ট্রোনমিতে ব্যাপক অবদান রাখে স্পিটজার।

স্পিটজার আমাদের সৌরজগতের বাইরের অন্য স্টার সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য এক্সোপ্ল্যানেটের ছবি তুলতে সক্ষম হওয়ায়  স্পেস টেলিস্কোপদের ইতিহাসে এটি  অন্যতম বিস্ময়! স্পিটজারের আগে অন্য টেলিস্কোপগুলো কেবল ট্রানজিট সিস্টেম ব্যবহার করে গ্রহ শনাক্ত করা গেছে, কিন্তু ছবি তোলা যায়নি। স্পিটজার এই কাজ প্রথমবারের মতো করে প্লানেটারি এস্ট্রোনমিতে অভাবনীয় অবদান রেখেছে। ২০০৫ সালে স্পিটজার একটি এক্সোপ্ল্যানেটের চারপাশে সৃষ্টি হওয়া নতুন একটি বলয় শনাক্ত করে, যা গ্রহের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট ভাবায়। ২০০৬ সালে স্পিটজার একটি এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার ম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়। 
মহাবিশ্বের রক্তিম সরণের কারণে বিগ ব্যাংয়ের প্রায় ১০ কোটি বছর পরের একটি তারার আলো শনাক্ত করতেও সক্ষম হয় স্পিটজার স্পেস অবজারভেটরি!

স্পিটজারের পর বিজ্ঞানীরা এক্সোপ্ল্যানেট নিয়ে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে পড়ে। ফলে নির্মিত হয় কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ। এক্সোপ্ল্যানেট শিকারে সর্বোচ্চ সফল স্পেস টেলিস্কোপ বলা হয় কেপলারকে। পেজের স্পেস টেলিস্কোপ সিরিজের ১ম পর্ব ছিল এই কেপলার স্পেস টেলিস্কোপকে নিয়েই। 

ওহ...  প্রথমেই তো বলেছিলাম ট্রাপিস্ট-১ স্টার সিস্টেমে অবস্থিত গ্রহগুলোর কথা। এই স্টার সিস্টেমটি স্পিটজার আবিষ্কার করেছিল ২০১৬ সালে। ২০০৯ সালে যে টেলিস্কোপের আয়ু শেষ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল, সেই টেলিস্কোপটি ২০১৬ সালে এসে এতো বড় একটি আবিষ্কার করলো। সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে অদম্য স্পিটজার এখনো কাজ করে চলছে মহাকাশ শিকারে!

Here's Some PDF Books About Spitzer Space Telescope.....





Tuesday, July 31, 2018

"তারা-পরিচিতি"→(ডাউনলোড করে নিন এর PDF VERSION)!


তারা-পরিচিতি

☼☼☼
তারা-পরিচিতি' বাংলাদেশী জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশল শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার রচিত একটি জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থ। এই বইয়ে আধুনিক ৮৮টি তারামণ্ডলের সবগুলোর বর্ণনা, পৃথিবীর আকাশে তাদের অবস্থান এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত তারার তালিকা উল্লেখিত আছে। বইটি প্রথম ১৯৬৭সালে প্রকাশিত হয়েছিল। 
আমাদের দেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান তথা বিজ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে যেকোন ধরনের আগ্রহে প্রতিবন্ধকতা অনেক। পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার কাজে তো বটেই, এমনকি প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য বইপত্র বা সাময়িকী পাওয়া খুবই কঠিন। প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার বাংলায় জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য তারা পরিচিতি বইটি রচনা করে এক বিরাট শূণ্যস্থান পূরণ করেছিলেন। 

বইটি খুব দুর্লভ এখন আবার 'রাতের আকাশের পরিচিতি' নিয়ে এর চেয়ে ভালো বই বাংলায় এখনো নেই!তাই সকলেই এটার pdf version পেয়েছি আমি।
এখন তোমরা সিম্পলি এই লিংক থেকে বইটার একদম স্ক্যান করা pdf version ডাউনলোড করে নিতে পারবা!

HERE'S THE DOWNLOAD LINKঃ-
https://drive.google.com/file/d/1R54FNj3XAaercroQBTkV2fWQkaACsO_3/view?usp=drivesdk

Thanks A Lot
basrimyin@gmail.com


Tuesday, May 8, 2018

Twin Paradox(Shake Your Brain)

TWIN PARADOX


আমরা যারা বিজ্ঞান ভালবাসি আমাদের একটু হলেও প্যারাডক্স সম্পর্কে ধারণা রয়েছে।তেমনি আজকে  মজার একটি প্যারাডক্স নিয়ে আলোচনা করব।এটির নাম হল টুইন প্যারাডক্স!
টুইন প্যারাডক্স এর মূল যে ভিত্তি তা হচ্ছে Time Dilation যেখানে গতির সাথে সময় প্রবাহের হার কমে যায়!মানে সময় আপেক্ষিক!!!
অবশ্য এই প্যারাডক্স এর এখন সমাধান আছে তাও ইতিহাসের সেরা প্যারাডক্স এটা তাই লেখা আরকি।
Time Dilation!
ধরা যাক মাহমুদ এবং বিল্পব দুজন জমজ ভাই এ পরীক্ষায় অংশ নেবে।তাদের বয়স ৩ বছর। এর মধ্যে মাহমুদ স্পেসশীপে করে মহাশূন্যে ভ্রমণে যাবে। ধরা যাক মাহমুদের স্পেসশীপের গতি আলোর গতির ০.৯৯৫ গুণ। ০.৯৯৫ গতিতে সে মহাশূন্যে ঘুরল এবং ধরে নিলাম সে কোথাও থামেনি। ৩ বছর পর মাহমুদ পৃথিবীতে ফিরে আসল।
এসে সে তার ভাই বিপ্লবকে দেখে অবাক। কারণ মাএ ৩ বছরে তার জমজ ভাই ৬০ বছরের বৃদ্ধ হয়ে গেছে😂😂। এখানেই আপেক্ষিকতার খেলা। কাল দীর্ঘায়নের সূএটিতে আমরা ৩ বছরকে ফেলে দেখব। এস্ট্রোনট হিসেবে মাহমুদ ৩ বছর ভ্রমণ করেছে। তাহলে তার বর্তমান বয়স ৩৩ বছর। অন্যদিকে তার ভাই বিপ্লব ছিল স্থির।সে স্বভাবিক ভাবেই জীবন যাপন করছে।তাই স্থির বললাম। কিন্তু এ সময়ে তার বয়স বেড়েছে ৩০ বছর। 
বিপ্লব পৃথিবীতে থাকা অবস্থায় তার ভাই মাহমুদ ৩০ বছর পরে পৃথিবীতে ফিরে এসেছে।সুতরাং বিপ্লবের মতে তাদের দুজনের বয়স ৬০ হওয়া উচিত। কিন্তু আলোর বেগের কাছাকাছি ছোটার কারণে মাহমুদের বয়স মাএ ৩ বছর বেড়েছে। সেই ভাই এখনো ৩৩ বছরের যুবক। সময়ের এই বিভ্রান্তিকেই টুইন প্যারাডক্স বলে। 

এখন হয়ত আপনার প্রশ্ন জাগতে পারে যমজ ভাইটি তার নিজের সাপেক্ষে স্থির।কিন্তু সে তো দেখবে পৃথিবী তার থেকে ০.৯৯৯ c গতিতে তার থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তাহলে তো পৃথিবীতে থাকা তার জমজ বোন উপমার ও কাল দীর্ঘয়ান ঘটছে সমান অনুপাতে। সুতরাং সবশেষে সব কিছু কাটাকাটি করে তাদের বয়স সমান হওয়ার কথা।  কিন্তু ভাইয়ের ক্ষেএে কাল দীর্ঘায়ন ঘটেছে কিন্তু বোনের ক্ষেএে কেন ঘটছে না। এখানে জমজ ভাই (মাহমুদ) আলোর গতিতে ছুটছে। সে কিন্তু ব্যাপারটা বুঝতে পারবে না। মাহমুদের কাছে মনে হবে সে স্থির কিন্তু পৃথিবী গতিশীল। তার কাছে মনে হবে পৃথিবীর গতি গার স্পেসশীপের গতির সমান হবে। মাহমুদ যখন পৃথিবী ছেড়ে যাচ্ছে কিংবা পৃথিবীতে ফিরে আসছে তখন পৃথিবী সহ তার চলার পথেরও সংকোচন ঘটছে। সে অনেক দূরত্ব অতিক্রম করছে কম সময়ে এবং দুই উপায়ে। একটা কাল দীর্ঘায়ন এবং অন্যটি দৈর্ঘ্য সংকোচনের কারণে। কিন্তু তার বোন উপমা দৈর্ঘ্য সংকোচন থেকে কোন সুবিধাই লাভ করতে পারছে না। তার উপমার কাছে পৃথিবী স্থির। তাই পথের সংকোচন তার ক্ষেএে ঘটবে না। তার কাছে তার ভাই মাহমুদ সহ স্পেসশীপই গতিশীল। তাই সে স্পেসশীপের  দশগুণ দৈর্ঘ্য সংকোচন দেখবে সে।কিন্তু সেই সংকোচন তার বয়স স্পেসশীপের সাথে পৃথিবীর দূরত্ব কমাতে কোন ভূমিকাই রাখতে পারছে না। তাই তার বয়স বৃদ্ধিতে স্পেসশীপের দৈর্ঘ্য সংকোচন ও কোন প্রভাব ফেলতে পারবে না।

বি.দ্রঃ-

এখানে সহজভাবে বুঝানোর জন্য মাহমুদ,বিপ্লব এবং উপমার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

Sunday, May 6, 2018

ব্ল্যাক হোলের অন্ধকার রহস্যন্মোচন!(BRIEFING THE BLACK HOLE)

আমরা সবাই স্পেস কে চিনি বা নাই চিনি ব্ল্যাক হোল এর এক অন্ধকার রহস্যে আমরা সবাই একে জানার জন্য উপছে পড়ি আর জেনেও নি হালকাভাবে!


প্রকারভেদটা জানার আগে আরেকবার বেসিকটা ক্লিয়ার করে নাও!


 ওকে এখন তোমরা ভালো ভাবেই ব্ল্যাক হোল এর সাইন্স জানো। এবার মূল আলোচনায় আসা যাক।
এই ব্ল্যাক হোল ও আবার কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে এবং এই বিষয় অতি সম্প্রতিই আমরা জানতে পেরেছি।আর তোমাদেরকে এই বিষয়টি জানাতে মাহমুদের লেখা এই পোস্ট মোক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী।
পড়ার পর কেমন লাগে তা কিন্তু জানাবা আর কোন প্রশ্ন থাকলে স্বকাতরচিত্তে জিজ্ঞাসা করবা!

ব্ল্যাকহোল কত প্রকার?

ব্ল্যাকহোল ৩ প্রকার

প্রাইমোডিয়াল ব্ল্যাকহোল।
নাক্ষত্রিক ব্ল্যাকহোল।
সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল।
 Primordial Black Hole!

প্রাইমোডিয়াল ব্ল্যকহোলঃ-


মহাকর্ষীয় সংকোচনের ফলে সিঙ্গুলারিটিরর ঘনত্ব অনেক বেশী হয়। বিগ ব্যাং এর সময় মহাবিশ্বের ঘনত্ব ছিল অনেক বেশী।তাই এই সময় ব্ল্যাকহে তৈরি হওয়া সম্ভব।১৯৭১ সালে হকিং দেখান যে ব্ল্যাকহোল সূর্যের ভরের আাইতে কমও হতে পারে। বিগব্যাং এর সময় কয়েক কেজি ভর থেকে কয়েক হাজার সৌর ভরের ব্ল্যাকহোল তৈরি হওয়া সম্ভব। তবে হিসাবমতে ১হাজার১১কেজির থেকে কম ভরের সব ব্ল্যাকহোল ইতিমধ্যে হকিং রেডিয়েশনে বিলীন হয়ে গেছে।
Stellar Black Hole!
নাক্ষত্রিক ব্ল্যালহোলঃ-

ব্ল্যাকহোলের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত প্রকার হচ্ছে তারা থেকে বিবর্তিত ব্ল্যাকহোলেরা।  যেগুলো হাইড্রোজেন ফিউশনের মধ্যেমে তৈরি হয় তাদেরকে নক্ষএ বলা হয়। অর্থ্যৎ হাইড্রোজেন হল জ্বালানি এবং হিলিয়াম হল উৎপাদক। মহাকর্ষ বলের জন্য এদের তাপমাএা প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। একসময় সেগুলো নিউক্লিক ফিউশন বিক্রিয়ায় তাপমাএার জন্য পৌছাঁয়।তখন হাউড্রোজেন এবং নিউক্লিয়াস পরষ্পরের সাথে যুক্ত হতে থাকে। ফলে এদের অভ্যন্তর থেকে প্রচুর পরিমাণ শক্তি নির্গত হয়। তারার নিজের ভরের জন্য মহাকর্ষ বল বল কেন্দ্রের দিকে টানে। ফলে সাম্যাবস্তা পাওয়ার জন্য স্থির হারে শক্তি নির্গত করতে থাকে। এমন অবস্থায় তারাকে বলা হয় মেইন সিকুয়েন্স স্টার।
সাধারণ অবস্থায় এর ভেতরে নিউক্লিয় ফিউশন হয় না। ফলে একসময় তারা গুলো তাদের নিজেদের সব জজ্বালানি শেষ করে ফেলে। এর ফলে কোন বহির্মূখী চাপ মহাকর্ষ বলকে বাধা দিতে পারে না। তাই মহাকর্ষ তারাকে সংকুচিত করে ফেলে। ০.৫ এর তারা গুলো বামন তারতে রূপান্তরিত হয়। ০.৫-১০ সৌরভরের তারা গুলোতে বেশ তাপমাএা বেড়ে যায় এবং হিলিয়ামের ফিউশন শুরু হয়ে যায়। এদের এ সময় লাল দানবের মত দেখায়। লাল দানবে লোহা পর্যন্ত চলতে শুরু করে। এরা নিবুলা বা বামন গ্রহে পরিণত হয়। এক সময় নিউক্লিক ফিউশন চলা বন্ধ হয়ে যায় এবং সুপারনোভা বিষ্পোরণ হয়ে মহাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সুপারনোভা বিষ্পোরণে যে অংশটুকু অবশিষ্ট থাকে তার ভর যদি ১.৪ সৌরভরের চেয়ে বেশী হয় তখন তারাটির মধ্যেবর্তী ইলেক্ট্রনের ডিজেনারেসি সংকোচনে বাধা দিতে পারে না। ফলে ইলেক্ট্রন ও প্রোটনে যক্ত হয়ে নিউট্রনে পরিণত হয়। এ সময় এ তারাদের বলা হয় নিউট্রন স্টার।
Supermassive Black Hole!
সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলঃ-

পৃথিবীর ভরের প্রায় ৩৩৩০০০ হাজার গুণ ভর সূর্যের। সূর্যের ভরকে সৌরভর বলা হয়। সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল গুলো কয়েক লক্ষ থেকে কয়েক শত কোটি সৌরভরের পর্যন্ত হতে পারে। এগুলো মূলত পাওয়া যায় গ্যালাক্সির ভেতরে। প্রত্যেকটি গ্যালাক্সির মধ্যে একটি করে ব্ল্যাকহোল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে যে ব্ল্যাকহোল রয়েছে তার নাম স্যাজিটেরিয়াস এ স্টার।যার ভর মোটামুটি ৪১ লক্ষ সৌরভর। এ ধরণের ব্ল্যাকহেল গুলো কিভাবে তৈরি হয় তা এখনো সুনির্দিষ্ট ধারণা পাওয়া যায় নি।
তবে বিজ্ঞানিরা মনে করেন এগুলি বিগ ব্যাং এর সময় তৈরি হয়েছিল।
আর ব্ল্যাক্ন হোলে যদি ঘুরে আসতে চাও তবে এই লোকটার সঙ্গী হতে পার!
জোক করছিলাম!এতা অসম্ভব!

মহাকাশ সম্পর্কে ১০টি অবাক করা তথ্য!

মহাকাশ সম্পর্কে ১০টি অবাক করা তথ্য!

THE MYSTERIOUS SPACE!

১. মহাকাশ সম্পূর্ণ নিঃশব্দ। তার কারণ মহাকাশে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। কাজেই শব্দ গমনের কোনও মাধ্যমও নেই।


২. মহাকাশে একটি নক্ষত্র রয়েছে যার উপরিতলের তাপমাত্রা মাত্র ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারাটির নাম WISE 1828+2650. এটি পৃথিবী থেকে ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্যের উপরিতলের তাপমাত্রা ৫৭৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

৩. শনির বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটা্নে মানুষ তার হাতের দু’পাশে দু’টো ডানার মতো পাতলা চামড়া লাগিয়ে অনায়াসেই উড়ে বেড়াতে পারে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব সেখানে অত্যধিক আর মাধ্যাকর্ষণ অত্যন্ত কম। অবশ্য এই কাণ্ডটি কেবল তত্ত্বগতভাবেই সম্ভব।

৪. সৌরমণ্ডলের মোট ভরের ৯৯ শতাংশই দখল করে রেখেছে সূর্য।

৫. চাঁদের মাটিতে মানুষের পায়ের ছাপ আগামী ১০ কোটি বছর রয়ে যাবে সেখানে। কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল বা জল নেই, ফলে সেই চিহ্ন মুছে যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই কোনও।

৬. মহাকাশ থেকে সূর্যকে হলুদ নয়, সাদা দেখায়। আসলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের ফোটন কণা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়, ফলে সূর্যের দীর্ঘতর দৈর্ঘ্য সম্পন্ন হলুদ, কমলা আর লাল আলোকরশ্মিগুলিই কেবল আমাদের চোখে ধরা পড়ে। মহাকাশে বায়ুমণ্ডল নেই, কাজেই এই কাণ্ডটি ঘটবারও সুযোগ নেই।

৭. বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন মহাকাশে একটা বিপুল জলাধার রয়েছে। কতটা বিপুল? পৃথিবীর সমস্ত সাগরে যতটা জল রয়েছে তার ১ কোটি ৪০ লক্ষ কোটি গুণ বেশি জল রয়েছে সেখানে।

৮. একবার একদল রাশিয়ান বিজ্ঞানী মহাকাশে আরশোলার প্রজনন ঘটান। তার ফলে যে ৩৩টি আরশোলা জন্ম নেয় তারা নাকি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া আরশোলাদের থেকে বেশি শক্তিশালী, দ্রুত, এবং সক্ষম ছিল।

৯. প্রতি বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে ১.৫ ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে।

১০. মহাকাশ সফরের পরে মহাকাশচারীদের উচ্চতা দু’ইঞ্চি করে বেড়ে যায়।


TRAPPIST-1★ট্র্যাপিস্ট-1(হান্ট ফর এক্সোপ্ল্যনেটস)

ট্র্যাপিস্ট-1 এক্সোপ্ল্যানেট গুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি সরবরাহ করতে পারে!

TRAPPIST-1 সিস্টেম হল মাত্র 39.6 আলোকবর্ষ দূরে এবং সাতটি ছোট জীবসমূহ রয়েছে যা একটি একমাত্র লাল বামন তারকা।

চিলি ইউরোপীয় দক্ষিণ পরিভ্রমণরত এ ট্রান্সটেটিং গ্র্যান্টস এবং প্ল্যানেটেসিমালস ছোট টেলিস্কোপ (TRAPPIST) ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২013 সালে ভিতরের তিনটি বিশ্ব আবিষ্কৃত হয় । বাইরের চারটি গ্রহ এক বছর পরে দেখা যায় এবং এটা সম্ভব যে সমস্ত সাতটি পৃথিবী সম্ভবত বাসযোগ্য হতে পারে।

এখন, নতুন ফলাফল গ্রহের জনসাধারণকে সংকুচিত করেছে, নিশ্চিত করে যে তারা সবুজ ভূমিতে থাকবে, বর্ধিত বায়ুমণ্ডল ছাড়াই যে উরুণা এবং নেপচুনের ক্ষুদ্রতর সংস্করণ থাকবে। উপরন্তু, পাঁচটি গ্রহের ঘনত্ব একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জল প্রস্তাব, যা জীবন জন্য অত্যাবশ্যক হিসাবে আমরা এটা জানি।

ট্রানজিট সময়জ্ঞান বৈচিত্র :

সুইজারল্যান্ডের বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর স্পেস এন্ড হাউব্যাটিবিলিটির সাইমন গ্রিমের নেতৃত্বাধীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহটির জনসাধারণের সবচেয়ে সঠিক গণনা তৈরি করেছে যা ট্রানজিট টাইমিং ভেরিয়েশন বা টিটিভির একটি প্রজন্মের সুবিধা গ্রহণ করে। সাতটি জগৎ মহাকর্ষীয়ভাবে একে অপরকে ধাক্কা দেয় এবং টান দেয়, যার ফলে তাদের তারকাগুলির সামনে তাদের ট্র্যাজেডের সময় বিলম্বিত হয় বা 1 ঘন্টা পর্যন্ত উন্নত হয়।

ট্র্যাপিস্ট-1 সিস্টেমের মধ্যে, "টিটিভিটি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আরো অনেকগুলি সিস্টেমে তুলনায় অনেক বেশি জটিল যা এক্সোপ্ল্যান্স কম থাকে", গ্রিম বলেন। গ্রহী জনসংখ্যার গণনা করার জন্য ডেটা বিচ্ছিন্ন করার চ্যালেঞ্জটি 35 টি ভিন্ন প্যারামিটার, প্রতিটি এক্সপ্ল্যানেটের জন্য পাঁচটি হ্যান্ডেল করার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন কোড প্রয়োজন। এই ভর হয়; কক্ষীয় পর্যায়কালের; ছিট; পেরিরিয়ালের যুক্তি (তার পেরিরির অবস্থান এবং যেখানে এক্সোপল্যাটের ঘূর্ণিত কক্ষপথের কক্ষপথের মধ্যবর্তী কোণটি কক্ষপথের মধ্য দিয়ে যায়); এবং গড় অ্যানোমাইটিস (যেকোন সময় যেকোনো সময় তার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে exoplanet এর অবস্থান নিরূপণ করতে প্রয়োজন)। কোড বিভিন্ন সমাধান একটি পরিসর উত্পাদিত, যা থেকে গ্রীম এর দল কনফিগারেশন নিখুঁত যে পর্যবেক্ষণ পর্যবেক্ষণ তথ্য ফিট।
ট্রাপিস্ট ১ এর গ্রহরা!

জল বিশ্বের :


সাতটি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎটি পৃথিবীর 1.156 গুণের সমান, exoplanet "c", তারকা থেকে দ্বিতীয়। সর্বনিম্ন ভূপৃষ্ঠের exoplanet ডি, পৃথিবীর ভর একটি তৃতীয়াংশ কম কম সঙ্গে সঙ্গে ট্রানজিটগুলির আকারের মহাজাগতিকদের এক্সোপ্ল্যান্সের তেজস্ক্রিয়তা বলে, এবং তাদের ব্যাসার্ধ এবং ভর থেকে, তাদের ঘনত্ব গণনা করা যেতে পারে।

এই যেখানে বিষয় আকর্ষণীয় হতে শুরু তাদের ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে, সমস্ত সাতটি বিশ্ব প্রধানত চিত্তাকর্ষক, কিন্তু 5% পর্যন্ত জল ধারণ করে। এই পৃথিবীর মহাসাগরের চেয়ে অনেক বেশি জল (যা পৃথিবীর ভরের 0.02% পরিমাণে)। যাইহোক, এটা দেখা যাচ্ছে যে ট্র্যাপিস্ট -1 জল বিশাল, গভীর মহাসাগরে exoplanet পৃষ্ঠের উপস্থিত হয় কিনা বা এটি একটি ঘন, বাষ্পীয় বায়ুমণ্ডল বা কিনা এটি exoplanet ভিতরে ছড়িয়ে হয় কিনা, মহাসাগরে যেমন সমুদ্রের সমান পরিমাণ পানি রয়েছে তেমনি পৃথিবীর ঢালের মতই অনেক।

তার তাপমাত্রা উপর ভিত্তি করে, exoplanet এবং গ্রিমম অনুযায়ী পৃথিবীর অনুরূপ হবে। এই পৃথিবীর 77% ভর পৃথিবীর, কিন্তু একটু ঘন ঘন, একটি বৃহৎ লোহা কোর এবং একটি পাতলা বায়ুমণ্ডল, সম্ভবত পৃথিবীর তুলনায় এমনকি পাতলা ইঙ্গিত।

হাবল হাইড্রোজেন খুঁজে পায় :

এদিকে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপের নতুন পর্যবেক্ষণটি টিটিভি গণনাের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে, ইউরেনাস ও নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে পাওয়া এক্সটেন্ডেড হাইড্রোজেন খামের অস্তিত্বের কথা বলার মাধ্যমে ট্র্যাপিস্ট-1 এক্সোপ্লান্টসের সম্ভাব্য স্থিতি অবস্থা নিশ্চিত করে। হাবলের ক্ষমতা সীমার সীমার উপর চাপানো , হাবলের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা 3 দ্বারা ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি'র জুলিয়ান ডি উইথের নেতৃত্বে একটি দল ইনফ্রারেড স্পেকট্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণ করতে এক্সোপ্ল্যানস ডি, ই, এফ এবং জি এর কাছাকাছি কোন বড়, দমকা বাতাসের সন্ধান পায়নি। , "জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মত ভবিষ্যতের টেলিস্কোপগুলির সাথে আরও অনেক স্থায়ী-সম্ভাবনাগুলি আবিষ্কার করা সম্ভব", হান্না ওয়াকফোর্ড বলে, বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট থেকে উইট এর দলটির একজন সদস্য।

হাবল ইতিমধ্যে হাইড্রোজেন-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল অনুসন্ধান করেছিলেন যা ২016 সালের অন্তর্বর্তী exoplanets b এবং c এর কাছাকাছি ছিল, যখন বাইরের মহাবিশ্বের পর্যবেক্ষণগুলি h অখণ্ড। পরের ধাপ exoplanets 'বায়ুমণ্ডল থেকে হাইড্রোজেন escaping জন্য অতিবেগুনী চেহারা হয় অন্তর্বর্তী জগতের জন্য এটি একটি গ্রিনহাউজ প্রভাবের একটি চিহ্ন হবে, যার ফলে তাপমাত্রা মহাসাগরকে উষ্ণ করে দেয়, যা জলীয় বাষ্প দ্বারা বায়ুমণ্ডলে ভরাট করে, যা অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের ভেতর থেকে অতিবেগুনী আলোর মধ্য দিয়ে বিভক্ত হয়, যা হাইড্রোজেনকে পালাতে দেয় মহাকাশ. এটা একই দৃশ্যকল্প যা শুক্র উপর স্থান গ্রহণ করা হয়েছে।

সেরা সুযোগ :
যাইহোক, ওয়াকফোর্ড বলছেন যে যখন সূর্য গ্রহের কোন প্রত্যক্ষ উপাদেয় আঁকানো কঠিন, ট্র্যাপিস্ট -1 "এখনও আমাদের নিজস্ব সৌরবিদ্যুতের বাইরে পৃথিবীর আকারের পৃথিবীকে অধ্যয়ন করার জন্য শ্রেষ্ঠ সুযোগকে প্রতিনিধিত্ব করে"।


Friday, April 20, 2018

INTERDIMENSIONAL TRAVEL(উচ্চ মাএায় ভ্রমণ!)


উচ্চ মাএায় ভ্রমণ!!!

তাও আবার সম্ভব নাকি?আরে নাহ যত্তসব মুভির কাহিনী...থাম,আসলে তুমি ভুল ভাবছ!

"EVERYTHING IS POSSIBLE WHEN THERE IS A POSSIBILITY & PROBABILITY"(Myin)!

Interdimensional Travel নিতান্তই আবাস্তব কিছু না কারণ এটা সম্ভব এবং এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে আমাদের মহাবিশ্ব এ!আমরাও পারবো তবে আরো অনেক উন্নত প্রযুক্তির বদৌলতে।


আইনস্টাইন তার সাধারণ আপেক্ষিকতার তও্বে দেখান যে মহাকর্ষের বল সৃষ্টি হয় স্থান ও কালের বক্রতার কারণে। স্থান কালের নিয়ম যদি অন্য রকম হত তাহলে মহাকর্ষের নিয়ম ও অন্য রকম হত। স্থান কালের জ্যামিতি হল স্থান কালের মৌলিক বিষয়। ধরুন আমরা যদি সময়কে বাদ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের মহাবিশ্বের কথা চিন্তা করি তাহলে সেখানেও দেখা যাবে এই স্থানের ভিন্নতার কারণে প্রকৃতিক নিয়ম গুলো অন্য রকম হচ্ছে।

এই ভিন্ন নিয়ম থেকে একটি জিনিস কিন্তু আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে, তা হল উচ্চ মাএার নিয়ম গুলো আরো সহজ হয়ে যাবে। আমরা উচ্চ মাএার যত গভীরে যাব সব কিছু তত সহজ হয়ে যাবে।একদম মিনারেল ওয়াটারের মত😂😂। এক সময় আমরা দেখব যাকে অসম্ভব কাজ বলে মনে করতাম তাও কিন্তু অনেক ইজি হয়ে যায় আমাদের জন্য। অনেকে মনে করবে আমি বা আমরা জাদু জানি কিংবা আমাদের অপ্রকৃতিক সওা আছে। এখন চলুন আমরা নিজেদেরকে উচ্চ মাএায় চিন্তা করি। ধরুন আমি দেওয়ালে হাটতে পারি। আবার কষ্ট করে গিয়ে দরজা খুলার দরকার নেই, দেওয়ালের ভেতর দিয়েই অন্য দিকে পার হয়ে যায় অনায়সে।তার মানে আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করতে গেইট কিংবা দরজা প্রয়োজন নেই দেওয়ালের ভেতর দিয়েই পারাপার হওয়া যাচ্ছে।

অথবা আমি কষ্ট করে গাড়ী চালিয়ে পাহাড়ের ওপর না ওঠে এর ভেতর দিয়েই চলাচল করতে পারি।এমন কোন জীবের কথা চিন্তা করা যাক যে বাতাসের সাথে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে আবার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে। মনে করুন আপনার এক্স-রে রশ্নিতে সেন্সরের মত চোখ আছে।যেখানে আপনি অন্য দেশের সব বার্তা আপনার চোখের সামনে দেখতে পাবেন।

আপনারা হয়ত চিন্তা করতেছেন এগুলো কেবল সাইন্স ফিকশান মুভিতে সম্ভব,বাস্তবে এগুলো কোন ভাবেই সম্ভব না!আসলে এগুলো সবই সম্ভব। উচ্চ মাএার কোন জীবের ক্ষেএে এগুলো সবই সম্ভব। আমাদের শুনতে অবিশ্বাস হলেও আসলে এটি সম্ভব।

তাহলে উদাহরণ দেওয়া যাকঃ-

মনে করুন আপনি 2 মাএায় বসবাস করেন।ধরুন আপনি জেলে বন্ধি।এখন  আপনার চারপাশে যদি একটি দাগ টেনে দেওয়া হয় তাহলে আপনি কিন্তু তার থেকে বের হতে পারবেন না।কারণ আপনি ২মাএায় বাসবাস করেন যাক কারণে আপনি ঐ দাগের মধ্যেই সীমাবদ্ব। এখন যদি ৩য় মাএার কোন জীব আপনাকে ঐ জেল থেকে তুলো এনে বের করে নামিয়ে দিতে পারবে।এবার জেলের জেলারের কথা ভাবুন। সে ভাববে জেল থেকে একজন আসামি শূন্যে হাওয়া হয়ে গেল এবং অন্য জায়গায় দূশ্যমান হল।এবার যদি আমারা তাকে বুঝাতে চাই আমরা তাকে জেল থেকে এনে বাইরে বের করেছি। সে কিন্তু আমাদের কথার কোন অর্থই বুঝবে না। কারণ সে দ্বিমাএিক জগতের শব্দকোষের ওপর বলে কোন শব্দ নেই।

আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করুন।আমরা কিন্তু দ্বিমাএিক জীবদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গই সব কিছুই দেখতে পাব।তারা দেখলে শুধু সামনের দিকটা দেখবে কিন্তু পেছনের দিকটা দেখা সম্ভব নয়।আমরা এিমাএিক জীবদের তাদের দেহের গঠন ও ভপতরের হ্রদপিন্ড থেকে শুরু করে সব কিছুই দেখা সম্ভব।ফলে কোন দ্বিমাএিক বস্তুর কোন জীবকে ত্বক না কেটেই সার্জারি করতে পারব।আমরা যদি দ্বিমাএিক জীবকে তাদের মাএার বাইরে নিয়ে এসে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে আবার তাদের জগতে নিয়ে যায় তাহলে তাদের বাম পাশের হ্রদপিন্ড ডান পাশে চলে আসবে।

সো দ্বিমাএিক জগতের কোন ডাক্তারো বুঝবে না এটা কীভাবে সম্ভব।
দ্বিমাএিক জগতের দৃষ্টিতে অবশ্যই এিমাএিক জগৎ সর্বশক্তিমান হবে।

তেমনিভাবে চারমাএিক জীবের ক্ষেএে আমাদের দুনিয়ার দেওয়াল ভেদ করে আসা একদম সোজা।তেমনিভাবে তার ও আমাদের হাটা চলা থেকে শুরু করে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখতে পাবে। চারমাএিক কোন জীবের জন্য কোন কিছু বাধা হবে না। তাকে আমরা আটকিয়েও রাখতে পারব না।এগুলো নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে।

এই উচ্চ মাএার নিয়মের ভেতর একটি তথ্য আছে যা আমাদের মহাবিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করবে।আর এই বিষয়টি আজকাল উচ্চ শক্তির পদার্থ বিজ্ঞানে গবেষণায় খুবই সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।এসবের পেছনে মূল উপলব্ধিটি হল উচ্চ মাএার প্রকৃতির নিয়ম গুলো অনেক সহজ হয়ে যায়

Writer:Md Mahamud mahamudulislam2000@gmail.com
Editor:MYIN
basrimyin@gmail.com 


Thursday, April 12, 2018

110 PLANETS IN OUR SOLAR SYSTEM!!!

Scientist says there are over 100 planets in our Solar System!!!


Most of us grew up learning that there are nine planets in our solar system. Back in 2006 that all changed, when Pluto was demoted from being labeled a proper planet to its new classification as a dwarf planet, leaving just eight true planets in our celestial neighborhood. Now, a group of scientists says Pluto should definitely be added back to the planet list — oh, and that there are over 100 other objects in our solar system that should also be called planets.

OUR AMAZING SOLAR SYSTEM

Kirby Runyon of Johns Hopkins University
headed a six-man team of authors from five different scientific bodies in preparing their own version of how planets should be classified.  Their argument and supporting information will be on display at next week’s Lunar and Planetary Science Conference in Texas.

In their paper, the researchers insist that the factors that should define whether a celestial body is a planet or not should relate solely to the object itself rather than things like location.
For example, the team’s definition of a planet would include Jupiter’s moon of Europa, as well as Earth’s moon. Both moons are, for the record, larger than Pluto, which the team argues is no less of a “planet” under the current definition than Earth, Mars, Jupiter and Neptune.

If the team’s version of planetary definition is indeed widely adopted — and to be clear, that’s a long shot at best — it would greatly expand the number of planets in our solar system from the current eight to around 110.