Showing posts with label SPACE. Show all posts
Showing posts with label SPACE. Show all posts

Sunday, July 28, 2019

নিকোলাস কোপার্নিকাস-আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক


আমার প্রিয় বিজ্ঞানী-নিকোলাস কোপার্নিকাস


আমার প্রিয় বিজ্ঞানী আধুনিক জ্যোতির্বিদ্যার জনক নিকোলাস কোপার্নিকাস,আইন্সটাইন যাকে বলেছেন "আধুনিক বৈজ্ঞানিক যুগের পথিকৃৎ" কারণ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সম্ভব হয়েছে কেপলার,গ্যালিলিও,নিউটনের যুগান্তকারী আবিষ্কারসমূহ যা জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যযুগীয় ভ্রান্ত ধারণা মুছে দিয়ে জ্ঞানবিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটায় যা Copernican Revolution নামে বিজ্ঞানের ইতিহাসে চিরস্মরণীয়।
কোপার্নিকান এর অবদানেই আমরা পেয়ে যায় আমাদের সৌরজগতের আসল পরিচয় Heliocentric Model,পৃথিবীর ও অন্যান্য গ্রহ-উপগেহের গতিপথের ধরন,পৃথিবী থেকে অন্যান্য গ্রহসমূহের দূরত্ব,পৃথিবীর অক্ষীয় ঘূর্ণন ইত্যাদি।


Heliocentric(সৌরকেন্দ্রীক) vs Geocentric(ভূকেন্দ্রীক)
তিনিই এই সত্য বের করতে পেরেছিলেন যে,পৃথিবী নয় বরং সূর্যই কেন্দ্রে এবং অন্যান্য সব গ্রহ একে কেন্দ্র করে ঘুরে।এই সত্য তিনি প্রথম তার বই "Commentariolus" এ ১৫১৪ সালে প্রকাশ করেন।কোপার্নিকাস এর আগে  যদিও আরিস্টাকাস 'সৌরমডেল' এর ধারণা দিয়েছিলেন তবে তার চেয়ে কোপার্নিকাস এর হিসেবনিকেশ সুক্ষ্ম ও নির্ভুল ছিলো।অনেক উপহাসের স্বীকার এবং হুমকির স্বীকার হয়ে তিনি তার যুগান্তকারী দ্বিতীয় বইটি "De revolutionibus orbium coelestium" প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছিলেন কারণ সৌরকেন্দ্রিক মডেল বাইবেল বিরোধী!১৫৪৩ সালে জানের ভয় নিয়ে এক প্রকাশক বইটি প্রকাশ করেন উপরে এটা লিখে দিয়ে,
"বইটি সম্পূর্ণ সত্য নয় কেবল ব্যক্তিগত অনুমানের উপর লিখিত।"
অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছিল কারণ এ সময় বাইবেলের বিরুদ্ধে যাওয়া মানে নিশ্চিত মৃত্যু।পরে অবশ্য মানুষ তার বইয়ের আসল পাণ্ডুলিপি খুঁজে পাই।বইটি ছাপা হয়ে যখন তার হাতে আসে তখন তিনি মৃত্যুশয্যায়,পড়তে পারেননি কিছুক্ষণ নড়াচড়া করেই এর কয়েক ঘণ্টা পর মারা যান ৭০ বছর বয়সের এই মহান বিজ্ঞানী!


তার লেখা ৪০ পৃষ্ঠার অপর একটি বই "Sketch of Hypothesis" কে তার প্রদত্ত মহাবিশ্বের মডেলের সারকথা হিসেবে উল্লেখ করা হয়,এটাও ১৫১৪ সালে প্রকাশিত হয়।তবে তার মৃত্যুর পর পর প্রায় ৩০০ বছরের জন্য রোমান শাসক তার বইকে নিষিদ্ধ করে রেখেছিলো।
কোপারনিকাস এর আবিষ্কার তথা পর্যবেক্ষণ মহাবিশ্বের প্রতি আমাদের ধারণা পালটে দেয়।তবে তার একটি ধারণা ভুল ছিলো সেটা হলো, গ্রহ-উপগ্রহ সমূহ সম্পূর্ণ বৃত্তীয় পথে আবর্তন করে যদিও কেপলার পরবর্তীতে এটি শুধরে দেন যে,বৃত্তীয় নয় বরং উপবৃত্তাকার কক্ষপথেই জ্যোতিষ্কসমূহের আবর্তন সম্পন্ন হয়।
তবে তার প্রদত্ত Cosmological Principal বিজ্ঞানের এক অনন্য প্রাপ্তি যেটি 'Genuine Copernican Cosmological Principle' নামে পরিচিত;যেখানে বলা হয়েছে-"যেকোন গ্রহ থেকেই দেখা হোক না কেন মহাবিশ্বকে সবদিকথেকে মোটামুটি একই দেখাবে যেটিকে আরেকটু বুঝিয়ে বললে দ্বারাই মহাবিশ্ব দিকনিরপেক্ষ বা সবদিক থেকে একই।"

অর্থনীতিতে কোপার্নিকাসের অবদান এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়।যথাক্রমে ১৫১৭ ও ১৫১৯ সালে তিনি অর্থনীতির একটি মূল ধারণা "Quantity Theory Of Money" এবং "Gresham’s Law" এর ধারণা দেন।

বিচিত্র বিষয়ে তার পাণ্ডিত্য ছিলো।তিনি অধ্যয়ন করেছেন মূলত ধর্মশাস্ত্র,গণিতশাস্ত্র,জ্যোতির্বিদ্যা এবং চিকিৎসাশাস্ত্র।তিনি চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং কিছুদিন অধ্যাপনাও করেছেন কিন্তু তৎকালীন ভূকেন্দ্রীক মডেল তার ভুল মনে হচ্ছিলো তাই শিক্ষকতা ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে এসে নিরলস পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণার পর তা লিপিবদ্ধ করেন যা এক নতুন যুগ সৃষ্টি করে।


'কোপার্নিক' শব্দের অর্থ বিনয়ী,তিনি সত্তিই খুব বিনয়ী ছিলেন।জ্যোতির্বিদ ছাড়াও তিনি ছিলেন দক্ষগণিতজ্ঞ,শিক্ষক,সরকারের উপদেষ্টা,অর্থনীতিবিদ,চিকিৎসক এবং সমাজকর্মী।তার জন্ম ও মৃত্যু পোল্যান্ড যথাক্রমে ১৪৭৩ ও ১৫৪৩ সালে।অবিবাহিত এই মহান বিজ্ঞানীর  কোন স্ত্রী পুত্র ছিলো না।
তার একটি বিখ্যাত উক্তি হলো-
"To know that we know what we know, and to know that we do not know what we do not know,that is true knowledge."
(Nicolaus Copernicus)

Tuesday, August 7, 2018

The SPITZER-"অদম্য স্পিটজারের গল্প"

Spitzer Space Telescope 

অদম্য স্পিটজারের গল্প!

ট্রাপিস্ট -১  স্টার সিস্টেমের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই? হ্যাঁ, এই স্টার সিস্টেমই সাম্প্রতিক সময়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মনে ব্যাপক উৎসাহের সৃষ্টি করেছে! ট্রাপিস্ট-১ কে কেন্দ্র করে যে ৭টি গ্রহ ঘুরছে, তার মধ্যে ৩টিই রয়েছে হ্যাবিটেশনাল জোনে। ফলে এখানে সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে কোনো প্রাণের কিংবা মানবজাতির ভবিষ্যৎ আন্তঃনাক্ষত্রিক যাত্রার একটি গন্তব্য হতে পারে স্টার সিস্টেম।

এই আবিষ্কারের নেপথ্যে যে মহানায়ক ছিল, তার নাম স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপ! ৭২০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ২০০৩ সালের ২৫ আগস্টে নাসার গ্রেট অবজারভেশান প্রোগ্রামের ৪র্থ এবং শেষ মিশন হিসেবে স্পিটজারকে ফ্লোরিডার কেপ কেনারেভাল স্পেস সেন্টার থেকে ডেল্টা-২ রকেটের মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয়।

অবলাল রশ্মি ক্যাপচার করে তাপীয় উৎস, অবলাল রশ্মি ( infrared ray ) নির্গত করে এমন মহাজাগতিক বস্তুর বর্ণালীবীক্ষণ করা এবং ছবি তোলা ছিল ১৮৭৭ পাউন্ডের টেলিস্কোপটির প্রধান কর্মযজ্ঞ! সাধারণত মহাকাশ থেকে অবলাল রশ্মি পৃথিবীতে আসতে আসতে বায়ুমণ্ডলেই বেশিরভাগ শোষিত হয়ে যায়। তাই স্পিটজারের মতো স্পেস টেলিস্কোপ তৈরি করা জ্যোতির্বিদদের কাছে খুবই দরকারি ছিল।

নাসা ঐতিহ্যগতভাবেই প্রত্যেকটা স্পেস টেলিস্কোপের নামকরণ কোনো বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানীর নামে করে। স্পিটজার স্পেস টেলিস্কোপের নামকরণ করা হয় জ্যোতির্বিদ লেম্যান স্পিটজারের নামে। ১৯৪০ সালের দিকে লেম্যান স্পেস টেলিস্কোপের ধারণা দেন। রকেট সায়েন্স এবং জ্যোতির্বিদ্যায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন এই প্রতিভাবান!

স্পিটজারের মিশন ব্যাপ্তিকালের পরিকল্পনা করা হয় ২.৫ থেকে ৫ বছরের জন্য। প্রাথমিক মিশন চলে ৫ বছর, ৮ মাস, ১৯ দিন পর্যন্ত! স্পিটজারের অনুসূর ও অপসূর যথাক্রমে ১.০০৩ এবং ১.০২৬ জ্যোতির্বিদ্যার একক।

ইনফ্রারেড অ্যারে ক্যামেরা, ইনফ্রারেড স্পেক্ট্রোগ্রাফ এবং মাল্টিব্যান্ড ইমেজিং ফটোমিটার  নিয়ে স্পিটজারের কাজ করার জন্য প্রয়োজন ছিল প্রায় -১৬৮° সেলসিয়াস তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা বজায় রাখতে ব্যবহৃত হতো তরল হিলিয়াম গ্যাস। ১৫ মে, ২০০৯ সালে তরল হিলিয়ামের সরবরাহ শেষ হয়ে যায়। মহাবিপদ! এদিকে বিজ্ঞানীদেরও স্পিটজার মিশনের ব্যাপ্তিকাল প্রসারিত করবার ইচ্ছে। 
জ্যোতির্বিদরা অসাধারণ একটি পরিকল্পনা করলো। পরিকল্পিত এই মিশনের নাম দেওয়া হলো স্পিটজার ওয়ার্ম মিশন। উপযুক্ত তাপমাত্রার অভাবে আগেই বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ অচল হয়ে গিয়েছিল। তবে নিম্ন তাপমাত্রায় তারা দুটি ইনফ্রারেড অ্যারে ক্যামেরাকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছিল। 
প্রায় সকল গ্রহই সব ধরণের আলো শোষণ করলেও বেশিরভাগ বিকিরণ করে অবলোহিত আলোয়। তাই এক্সোপ্ল্যানেট হান্টে স্পিটজার দারুণভাবে সফল হয়! এছাড়াও গ্যালাক্সি, নেবুলা, নক্ষত্রদের অবলাল আলোয় অপূর্ব ছবি তুলে ইনফ্রারেড এস্ট্রোনমিতে ব্যাপক অবদান রাখে স্পিটজার।

স্পিটজার আমাদের সৌরজগতের বাইরের অন্য স্টার সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য এক্সোপ্ল্যানেটের ছবি তুলতে সক্ষম হওয়ায়  স্পেস টেলিস্কোপদের ইতিহাসে এটি  অন্যতম বিস্ময়! স্পিটজারের আগে অন্য টেলিস্কোপগুলো কেবল ট্রানজিট সিস্টেম ব্যবহার করে গ্রহ শনাক্ত করা গেছে, কিন্তু ছবি তোলা যায়নি। স্পিটজার এই কাজ প্রথমবারের মতো করে প্লানেটারি এস্ট্রোনমিতে অভাবনীয় অবদান রেখেছে। ২০০৫ সালে স্পিটজার একটি এক্সোপ্ল্যানেটের চারপাশে সৃষ্টি হওয়া নতুন একটি বলয় শনাক্ত করে, যা গ্রহের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞানীদের যথেষ্ট ভাবায়। ২০০৬ সালে স্পিটজার একটি এক্সোপ্ল্যানেটের বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রার ম্যাপ তৈরি করতে সক্ষম হয়। 
মহাবিশ্বের রক্তিম সরণের কারণে বিগ ব্যাংয়ের প্রায় ১০ কোটি বছর পরের একটি তারার আলো শনাক্ত করতেও সক্ষম হয় স্পিটজার স্পেস অবজারভেটরি!

স্পিটজারের পর বিজ্ঞানীরা এক্সোপ্ল্যানেট নিয়ে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে পড়ে। ফলে নির্মিত হয় কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ। এক্সোপ্ল্যানেট শিকারে সর্বোচ্চ সফল স্পেস টেলিস্কোপ বলা হয় কেপলারকে। পেজের স্পেস টেলিস্কোপ সিরিজের ১ম পর্ব ছিল এই কেপলার স্পেস টেলিস্কোপকে নিয়েই। 

ওহ...  প্রথমেই তো বলেছিলাম ট্রাপিস্ট-১ স্টার সিস্টেমে অবস্থিত গ্রহগুলোর কথা। এই স্টার সিস্টেমটি স্পিটজার আবিষ্কার করেছিল ২০১৬ সালে। ২০০৯ সালে যে টেলিস্কোপের আয়ু শেষ হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিল, সেই টেলিস্কোপটি ২০১৬ সালে এসে এতো বড় একটি আবিষ্কার করলো। সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে অদম্য স্পিটজার এখনো কাজ করে চলছে মহাকাশ শিকারে!

Here's Some PDF Books About Spitzer Space Telescope.....





Friday, June 1, 2018

স্যাটেলাইট এর আদ্যোপান্ত(All About Satellite)!

ALL ABOUT SATELLITE!

আমরা এখন স্যাটেলাইট ন্যাশন!(বাংলাদেশ)।
তাই আমাদের স্যাটেলাইট নিয়ে বিশদ জানা দরকার।আর তারই এক ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফসল এই পোস্ট। এই পোস্টের টপিক(স্যাটেলাইট এর আদ্যোপান্ত)
বুঝতেই পারছেন,অনেক আলোচনা।হব্বে!

স্যাটেলাইট কী? 📡

উপগ্রহ ত আমরা সকলেই চিনি। গ্রহকে কেন্দ্র করে যা ঘোরে সেটিই উপগ্রহ । অর্থাৎ যেগুলো পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে সেগুলো পৃথিবীর । । আর এই উপগ্রহ হয় দুই ধরনের। যথা – প্রাকৃতিক উপগ্রহ & কৃত্রিম উপগ্রহ। যেমন চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। বঙ্গবন্ধু-১স্যাটেলাইট হল কৃত্রিম উপগ্রহ যেটা প্রকৃতির নয় মানবসৃষ্ট।এই উপগ্রহ পুরো পৃথিবীকে ২৪ ঘন্টা পর পর অতিক্রম করে। দূরবর্তী টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট, টিভি চ্যানেল সম্প্রচার এ স্যাটেলাইট আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।

🚀এর প্রয়োজনীয়তা কী ?

ইতিমধ্যে আমরা বুঝে গেছি স্যাটেলাইট এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। কিন্তু এখন একটু বিস্তারিত বলতে চাই। অনেকে প্রশ্ন করে আমি এন্টেনা ব্যবহার করে কিংবা টাওয়ার বসিয়েই তো আমার তথ্য দূরে পাঠাতে পারি। স্যাটেলাইট কেন দরকার??
ধরুন, আপনি আপনার একটা ছবি ইন্টারনেট এ আপনার আত্নীয়ের কাছে পাঠাবেন যে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। এখন এই ডাটাটি চাইলেই আমি এন্টেনা, টাওয়ার ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর প্রচেষ্টা করতে পারি। কিন্তু সেটা পন্ডশ্রম হবে। কেন? কারণ পৃথিবী কমলালেবুর মত বা প্রায় গোলাকৃতির। তাই অনেক দূর যখন ডাটাটি ভ্রমণ করবে সেক্ষেত্রে ডাটা লসের ঘটনাটি ঘটবে। শেষ মেষ তার গন্তব্যে পৌছাতে পারবেনা। তাই স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয় সেতুবন্ধন কারী হিসেবে। যে বাংলাদেশ & অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যোগাযোগ এর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, ধরেন আপনি আপনার ফ্রেন্ডকে একটা বল ছূড়ে মারতে চান। সে আপনার থেকে অনেক দূরে। বলটা সে পর্যন্ত নাও যেতে পারে। তাই দুজনের মাঝে যদি অন্য একজন বন্ধু রাখেন তাহলে সহজেই কাজটা হবে। সে আপনার থেকে নিয়ে আপনার বন্ধুকে চালান করে দিবে।

🚀স্যাটেলাইট কয় ধরনের?

কাজের ভিত্তিতে তিন ধরনের স্যাটেলাইট আছে। সেগুলো হল :
★LEO ( Low Earth Orbit ) – পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৬০-২০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। সাধারণত পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইটগুলো এই কক্ষপথে থাকে। পৃথিবী পৃষ্ঠের খুব কাছে থাকায় এই কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আন্তর্জাতিক স্পেস ষ্টেশন এই কক্ষপথে অবস্থিত। এগুলো টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট এর জন্য ব্যবহার হয়।
★MEO ( Medium Earth Orbit) – পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২০০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। সাধারণত জিপিএস স্যাটেলাইট গুলো এই কক্ষপথে থাকে। এই কক্ষপথের স্যাটেলাইট গুলোর গতিবেগ মন্থর। এই স্যাটেলাইটগুলো পাঠাতে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। এটা নেভিগেশন, সামরিকবাহিনীদের কাজে লাগে।
★GEO (Geostationary Earth Orbit) – GEO পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৩৬০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। এই কক্ষপথে অ্যান্টেনা এর অবস্থান নির্দিষ্ট থাকে। সাধারণত রেডিও এবং টিভি এর ট্রান্সমিশনের কাজে ব্যাবহার করা হয়।

🚀স্যাটেলাইট ভূ-পৃষ্ঠে পড়ে যায় না কেন? এটা কিভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে?


এ আলোচনার আগে আমি আপনাদের একটু পদার্থবিজ্ঞান এর পরমাণু অধ্যায় টা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যেখানে আলোচনা করা হয়েছিল পরমানুর কক্ষপথে ইলেকট্রন কিভাবে ঘুরে? কেন নিউক্লিয়াস এ পতিত হয়না? নিশ্চয় মনে আছে সবার? এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকম। স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকে তখন পৃথিবীর কেন্দ্র বরাবর তার একটি বল কাজ করে যাকে বলে কেন্দ্রমুখী বল। আরেকটি বল কাজ করে যেটা তাকে তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে নিয়ে যেতে চায়। একে কেন্দ্রাবিমুখী বল বলে। এখন, এই কেন্দ্রমুখী & কেন্দ্রাবিমুখী বল সমান থাকায় সেটা একটি নির্দিষ্ট বেগে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকে। ছিটকে পড়ে না বা ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হয়না। ধরেন, আপনি দড়িতে একটি পাথর বেধে ঘুরাচ্ছেন। এই পাথর তখনি ছিটকে পড়বে যখন এই দুই বল পরস্পর সমান হবেনা।

🚀 কিভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়?

কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন করার জন্য আলাদা মহাশূন্য যান রয়েছে। একে বলা হয় “উৎক্ষেপণ যন্ত্র (Launch Vehicle)। কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হয়, তা হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ এবং মহাশূন্য যানটির গতির সমতা রক্ষা করা। কারণ অভিকর্ষজ ত্বরণ আমাদের উৎক্ষেপণ যন্ত্রকে পৃথিবীর দিকে টানতে থাকে।
দুই ধরনের উৎক্ষেপণ যন্ত্র রয়েছে – অপচয়যোগ্য রকেট এবং মহাশূন্য শাটল। অপচয়যোগ্য রকেটগুলো স্যাটেলাইট স্থাপন শেষে ধ্বংস হয়ে যায়। অপরদিকে মহাশূন্য শাটলগুলো স্যাটেলাইট স্থাপনের কাজে বারবার ব্যবহার করা যায়। উৎক্ষেপণ যন্ত্রের গতিবেগ উচ্চতার উপর অনেকটা নির্ভর করে। কম উচ্চতার কক্ষপথে (Low Earth Orbit = LEO) এর বেগ ৭.৮ কি.মি./সেকেন্ড, বেশি উচ্চতার কক্ষপথে (Geostationary Earth Orbit =GEO) এর বেগ ৩.১ কিমি/সে ।

🚀 স্যাটেলাইট এর দূরত্ব ও বেগের হিসাব।
বেগ নির্ণয় :

Fc = Centrifugal force ( কেন্দ্রমুখী বল)
Fe = Centripetal force (কেন্দ্রবিমুখী বল)
এখন,
Fc = Fe
or, mv^2/(R+h)= mg
or, g = v^2/(R+h)
or, GM/(R+h)^2 = v^2/(R+h)
or, v = sqrt (GM/R+h)
এখন, G = Gravitational constant = 6.67 * 10^-11
M = Mass of earth = 6 * 10^24 kg
R = radius of earth = 6400 km
h = height from earth surface = 35000 km
So, Velocity of satellite = 3.075 * 10^3 m/s
দুরত্ব হিসেব :
v = sqrt GM/(R+h)
or, v^2 = GM/(R+h)
or, h = GM / v^2 – R
এখন, G = Gravitational constant = 6.67 * 10^-11
M = Mass of earth = 6 * 10^24 kg
R = radius of earth = 6400 km
v = Velocity of satellite = 3.075 * 10^3 m/s
so, h = 35000 km

📡 ক) স্যাটেলাইট তো ঘূর্ণয়মান। তাইলে সেটা কিভাবে আমাদের গ্রাউন্ডিং স্টেশন এর সিগনাল রিসিভ করে?

উ: অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা কাজ করে যে স্যাটেলাইট তো ঘূর্ণয়মান। তাইলে সেটা কিভাবে পৃথিবী থেকে পাঠানো সিগন্যাল রিসিভ করে কিংবা পৃথিবী তার সিগনাল রিসিভ করে। ব্যাপারটা মজার। ধরুণ, আপনি বড় একটা বৃত্ত এবং আপনার বন্ধু একটা ছোট বৃত্ত আকল। কার আকা আগে শেষ হবে?? নিশ্চয়ই বলবেন আপনার বন্ধুর?! কারণ সে ছোট বৃত্ত একেছে। সময় তো কম লাগবেই। যদি প্রশ্ন করা হয় দুইজনেই একই সময়ে আকা শেষ করতে পারবেন??? এটা কি সম্ভব??? হ্যা অবশ্যই সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার আকার গতি বাড়িয়ে দিতে হবে। যেহেতু আপনি বড় বৃত্ত আঁকবেন। একইভাবে স্যাটেলাইট ও পৃথিবীর ঘূর্ণন তালে সমতা আনা হয়। তাই পৃথিবীও নিজ অক্ষকে একবার আবর্তন করতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগে এবং স্যাটেলাইট এরও সেই একই সময় লাগে। তাই পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট কে আপাতদৃষ্টিতে স্থির মনে হয়। তাই কোন সিগন্যাল রিসিভ / ট্রান্সমিশন এ কোন সমস্যা হয়না। তবে মাঝেমধ্যে তালের সমতা হারিয়ে যেতে পারে। তখন স্যাটেলাইট নিজস্ব গ্যাসীয় উদগীরণের মাধ্যমে সেটা মানিয়ে নেয়।

📡খ) স্যাটেলাইট এর জন্য কিভাবে পাওয়ার সরবরাহ করা হয়?

উ: প্রত্যেক স্যাটেলাইটে ৩২০০০ সোলার সেল মাউন্টেড করা থাকে যারা ৫২০ ওয়াট পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে এবং ব্যাক আপ হিসেবে থাকে ক্যাডমিয়াম ব্যাটারি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার সোর্স ও মাঝেমাঝে ব্যবহার করা হয়। এর পাওয়ার সিস্টেম প্রসেসকে পৃথিবী থেকে সবসময় মনিটর করা হয়। স্যাটেলাইটে একটি অনবোর্ড কম্পিউটার থাকে যা একে নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন সিস্টেমকে মনিটর করে।

📡গ) স্যাটেলাইট কি কি ডিভাইস নিয়ে গঠিত?

উ: স্যাটেলাইট এর মূল চালিকাশক্তি হল স্যাটেলাইট Transponder যা নিম্নোক্ত ডিভাইস নিয়ে গঠিত :
১) Band Pass Filter
২) Low Noise Amplifier
৩) Frequency Translator
৪) Microwave shift oscillator
৫) Radio Frequency Mixer
৬) Power Amplifier
৭) High Resoluted Camera
৮) Processor with high clock speed
৯) High power Transmitting antenna
১০) High power receiving Antenna


📡ঘ) আপলিঙ্ক & ডাউনলিঙ্ক কি?

উ: গ্রাউন্ড স্টেশন এন্টেনা থেকে যে ডাটা লিংক / চ্যানেল এর মাধ্যমে ডাটা স্যাটেলাইট এর রিসিভিং এন্টেনায় পৌছায় তাকে আপলিঙ্ক বলে।
আর স্যাটেলাইট এর ট্রান্সমিটিং এন্টেনা থেকে যে চ্যানেল / ডাটা লিঙ্ক এর মাধ্যমে ডাটা গ্রাউন্ড স্টেশন এর এন্টেনায় পৌছায় তাকে ডাউনলিঙ্ক বলে।
জিনিসটা একে অন্যের উলটো। অনেকের হয়তো হিজিবিজি লাগতে পারে। তাদের জন্য একটা উদাহরণ দিই। ধরুন, আপনি আপনার ফ্রেন্ডের দিকে একটা বল ছুড়ে মারবেন। এখন কাজটা সহজ করার জন্য দুজনের মাঝে অন্য একজন ফ্রেন্ড রাখলেন যে আপনার থেকে বলটা ক্যাচ ধরে আপনার বন্ধুকে দিবে। এখন আপনি মাঝের বন্ধুর দিকে বল ছুড়ে দিলেন। আপনাদের লিঙ্ক টা আপলিঙ্ক। এবার মাঝের বন্ধু অপাশের বন্ধুকে বল টা ছুড়ে মারবে। তাদের লিঙ্ক টা ডাউনলিঙ্ক। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

📡ঙ) স্যাটেলাইট এর বিকল্প প্রযুক্তি কি? কোনটায় সুবিধা বেশি?

স্যাটেলাইট এর বিকল্প প্রযুক্তি হল সাবমেরিন ক্যাবল। সাগরের নিচে পাতানো এই অপটিক্যাল ফাইবার চোখের পলক পড়ার আগেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ডাটা পৌছে দেয়। সময় পেলে অন্য আরেকদিন এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সুবিধার কথা চিন্তা করলে সাবমেরিন ক্যাবল উত্তম।
কারণ—–
১) ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি
২) Guided medium হওয়াতে ডাটা লস কম
৩) Electromagnetic interference নেই
৪) ডাটা পৌছে আলোর দ্রুতিতে যেহেতু ফাইবার based & লেজার / এল ই ডি ব্যবহার করে ডাটা পাঠানো হয়।
এবার অনেকে প্রশ্ন করতে পারে, তাইলে আর স্যাটেলাইট কেন?
কারণ, চাইলেই যখন তখন সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন বসানো সম্ভব নয়। প্রত্যেক দেশকেই আন্তর্জাতিক টেলিফোন সংস্থা থেকে একটি লিমিটেড ব্যান্ডউইথ বেধে দেয়া হয়। তাই সাবমেরিন ক্যাবল এর পাশাপাশি এই স্যাটেলাইট কে ব্যাক আপ হিসেবে রাখা হয়।

Thanks For Reading
তো অনেক কিছুইতো জানা হয়ে গেল!ঠিক না?
😁

Sunday, May 6, 2018

মহাকাশ সম্পর্কে ১০টি অবাক করা তথ্য!

মহাকাশ সম্পর্কে ১০টি অবাক করা তথ্য!

THE MYSTERIOUS SPACE!

১. মহাকাশ সম্পূর্ণ নিঃশব্দ। তার কারণ মহাকাশে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই। কাজেই শব্দ গমনের কোনও মাধ্যমও নেই।


২. মহাকাশে একটি নক্ষত্র রয়েছে যার উপরিতলের তাপমাত্রা মাত্র ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারাটির নাম WISE 1828+2650. এটি পৃথিবী থেকে ৪৭ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্যের উপরিতলের তাপমাত্রা ৫৭৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

৩. শনির বৃহত্তম উপগ্রহ টাইটা্নে মানুষ তার হাতের দু’পাশে দু’টো ডানার মতো পাতলা চামড়া লাগিয়ে অনায়াসেই উড়ে বেড়াতে পারে। কারণ বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব সেখানে অত্যধিক আর মাধ্যাকর্ষণ অত্যন্ত কম। অবশ্য এই কাণ্ডটি কেবল তত্ত্বগতভাবেই সম্ভব।

৪. সৌরমণ্ডলের মোট ভরের ৯৯ শতাংশই দখল করে রেখেছে সূর্য।

৫. চাঁদের মাটিতে মানুষের পায়ের ছাপ আগামী ১০ কোটি বছর রয়ে যাবে সেখানে। কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল বা জল নেই, ফলে সেই চিহ্ন মুছে যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই কোনও।

৬. মহাকাশ থেকে সূর্যকে হলুদ নয়, সাদা দেখায়। আসলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে সূর্যের ফোটন কণা বিচ্ছুরিত হয়ে যায়, ফলে সূর্যের দীর্ঘতর দৈর্ঘ্য সম্পন্ন হলুদ, কমলা আর লাল আলোকরশ্মিগুলিই কেবল আমাদের চোখে ধরা পড়ে। মহাকাশে বায়ুমণ্ডল নেই, কাজেই এই কাণ্ডটি ঘটবারও সুযোগ নেই।

৭. বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন মহাকাশে একটা বিপুল জলাধার রয়েছে। কতটা বিপুল? পৃথিবীর সমস্ত সাগরে যতটা জল রয়েছে তার ১ কোটি ৪০ লক্ষ কোটি গুণ বেশি জল রয়েছে সেখানে।

৮. একবার একদল রাশিয়ান বিজ্ঞানী মহাকাশে আরশোলার প্রজনন ঘটান। তার ফলে যে ৩৩টি আরশোলা জন্ম নেয় তারা নাকি পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া আরশোলাদের থেকে বেশি শক্তিশালী, দ্রুত, এবং সক্ষম ছিল।

৯. প্রতি বছর চাঁদ পৃথিবী থেকে ১.৫ ইঞ্চি করে দূরে সরে যাচ্ছে।

১০. মহাকাশ সফরের পরে মহাকাশচারীদের উচ্চতা দু’ইঞ্চি করে বেড়ে যায়।


TRAPPIST-1★ট্র্যাপিস্ট-1(হান্ট ফর এক্সোপ্ল্যনেটস)

ট্র্যাপিস্ট-1 এক্সোপ্ল্যানেট গুলোতে প্রচুর পরিমাণে পানি সরবরাহ করতে পারে!

TRAPPIST-1 সিস্টেম হল মাত্র 39.6 আলোকবর্ষ দূরে এবং সাতটি ছোট জীবসমূহ রয়েছে যা একটি একমাত্র লাল বামন তারকা।

চিলি ইউরোপীয় দক্ষিণ পরিভ্রমণরত এ ট্রান্সটেটিং গ্র্যান্টস এবং প্ল্যানেটেসিমালস ছোট টেলিস্কোপ (TRAPPIST) ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ২013 সালে ভিতরের তিনটি বিশ্ব আবিষ্কৃত হয় । বাইরের চারটি গ্রহ এক বছর পরে দেখা যায় এবং এটা সম্ভব যে সমস্ত সাতটি পৃথিবী সম্ভবত বাসযোগ্য হতে পারে।

এখন, নতুন ফলাফল গ্রহের জনসাধারণকে সংকুচিত করেছে, নিশ্চিত করে যে তারা সবুজ ভূমিতে থাকবে, বর্ধিত বায়ুমণ্ডল ছাড়াই যে উরুণা এবং নেপচুনের ক্ষুদ্রতর সংস্করণ থাকবে। উপরন্তু, পাঁচটি গ্রহের ঘনত্ব একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জল প্রস্তাব, যা জীবন জন্য অত্যাবশ্যক হিসাবে আমরা এটা জানি।

ট্রানজিট সময়জ্ঞান বৈচিত্র :

সুইজারল্যান্ডের বার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্টার ফর স্পেস এন্ড হাউব্যাটিবিলিটির সাইমন গ্রিমের নেতৃত্বাধীন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহটির জনসাধারণের সবচেয়ে সঠিক গণনা তৈরি করেছে যা ট্রানজিট টাইমিং ভেরিয়েশন বা টিটিভির একটি প্রজন্মের সুবিধা গ্রহণ করে। সাতটি জগৎ মহাকর্ষীয়ভাবে একে অপরকে ধাক্কা দেয় এবং টান দেয়, যার ফলে তাদের তারকাগুলির সামনে তাদের ট্র্যাজেডের সময় বিলম্বিত হয় বা 1 ঘন্টা পর্যন্ত উন্নত হয়।

ট্র্যাপিস্ট-1 সিস্টেমের মধ্যে, "টিটিভিটি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং আরো অনেকগুলি সিস্টেমে তুলনায় অনেক বেশি জটিল যা এক্সোপ্ল্যান্স কম থাকে", গ্রিম বলেন। গ্রহী জনসংখ্যার গণনা করার জন্য ডেটা বিচ্ছিন্ন করার চ্যালেঞ্জটি 35 টি ভিন্ন প্যারামিটার, প্রতিটি এক্সপ্ল্যানেটের জন্য পাঁচটি হ্যান্ডেল করার জন্য প্রয়োজনীয় নতুন কোড প্রয়োজন। এই ভর হয়; কক্ষীয় পর্যায়কালের; ছিট; পেরিরিয়ালের যুক্তি (তার পেরিরির অবস্থান এবং যেখানে এক্সোপল্যাটের ঘূর্ণিত কক্ষপথের কক্ষপথের মধ্যবর্তী কোণটি কক্ষপথের মধ্য দিয়ে যায়); এবং গড় অ্যানোমাইটিস (যেকোন সময় যেকোনো সময় তার উপবৃত্তাকার কক্ষপথে exoplanet এর অবস্থান নিরূপণ করতে প্রয়োজন)। কোড বিভিন্ন সমাধান একটি পরিসর উত্পাদিত, যা থেকে গ্রীম এর দল কনফিগারেশন নিখুঁত যে পর্যবেক্ষণ পর্যবেক্ষণ তথ্য ফিট।
ট্রাপিস্ট ১ এর গ্রহরা!

জল বিশ্বের :


সাতটি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎটি পৃথিবীর 1.156 গুণের সমান, exoplanet "c", তারকা থেকে দ্বিতীয়। সর্বনিম্ন ভূপৃষ্ঠের exoplanet ডি, পৃথিবীর ভর একটি তৃতীয়াংশ কম কম সঙ্গে সঙ্গে ট্রানজিটগুলির আকারের মহাজাগতিকদের এক্সোপ্ল্যান্সের তেজস্ক্রিয়তা বলে, এবং তাদের ব্যাসার্ধ এবং ভর থেকে, তাদের ঘনত্ব গণনা করা যেতে পারে।

এই যেখানে বিষয় আকর্ষণীয় হতে শুরু তাদের ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে, সমস্ত সাতটি বিশ্ব প্রধানত চিত্তাকর্ষক, কিন্তু 5% পর্যন্ত জল ধারণ করে। এই পৃথিবীর মহাসাগরের চেয়ে অনেক বেশি জল (যা পৃথিবীর ভরের 0.02% পরিমাণে)। যাইহোক, এটা দেখা যাচ্ছে যে ট্র্যাপিস্ট -1 জল বিশাল, গভীর মহাসাগরে exoplanet পৃষ্ঠের উপস্থিত হয় কিনা বা এটি একটি ঘন, বাষ্পীয় বায়ুমণ্ডল বা কিনা এটি exoplanet ভিতরে ছড়িয়ে হয় কিনা, মহাসাগরে যেমন সমুদ্রের সমান পরিমাণ পানি রয়েছে তেমনি পৃথিবীর ঢালের মতই অনেক।

তার তাপমাত্রা উপর ভিত্তি করে, exoplanet এবং গ্রিমম অনুযায়ী পৃথিবীর অনুরূপ হবে। এই পৃথিবীর 77% ভর পৃথিবীর, কিন্তু একটু ঘন ঘন, একটি বৃহৎ লোহা কোর এবং একটি পাতলা বায়ুমণ্ডল, সম্ভবত পৃথিবীর তুলনায় এমনকি পাতলা ইঙ্গিত।

হাবল হাইড্রোজেন খুঁজে পায় :

এদিকে, হাবল স্পেস টেলিস্কোপের নতুন পর্যবেক্ষণটি টিটিভি গণনাের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে, ইউরেনাস ও নেপচুনের বায়ুমণ্ডলে পাওয়া এক্সটেন্ডেড হাইড্রোজেন খামের অস্তিত্বের কথা বলার মাধ্যমে ট্র্যাপিস্ট-1 এক্সোপ্লান্টসের সম্ভাব্য স্থিতি অবস্থা নিশ্চিত করে। হাবলের ক্ষমতা সীমার সীমার উপর চাপানো , হাবলের ওয়াইড ফিল্ড ক্যামেরা 3 দ্বারা ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি'র জুলিয়ান ডি উইথের নেতৃত্বে একটি দল ইনফ্রারেড স্পেকট্রোস্কোপিক পর্যবেক্ষণ করতে এক্সোপ্ল্যানস ডি, ই, এফ এবং জি এর কাছাকাছি কোন বড়, দমকা বাতাসের সন্ধান পায়নি। , "জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মত ভবিষ্যতের টেলিস্কোপগুলির সাথে আরও অনেক স্থায়ী-সম্ভাবনাগুলি আবিষ্কার করা সম্ভব", হান্না ওয়াকফোর্ড বলে, বাল্টিমোরের স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট থেকে উইট এর দলটির একজন সদস্য।

হাবল ইতিমধ্যে হাইড্রোজেন-সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল অনুসন্ধান করেছিলেন যা ২016 সালের অন্তর্বর্তী exoplanets b এবং c এর কাছাকাছি ছিল, যখন বাইরের মহাবিশ্বের পর্যবেক্ষণগুলি h অখণ্ড। পরের ধাপ exoplanets 'বায়ুমণ্ডল থেকে হাইড্রোজেন escaping জন্য অতিবেগুনী চেহারা হয় অন্তর্বর্তী জগতের জন্য এটি একটি গ্রিনহাউজ প্রভাবের একটি চিহ্ন হবে, যার ফলে তাপমাত্রা মহাসাগরকে উষ্ণ করে দেয়, যা জলীয় বাষ্প দ্বারা বায়ুমণ্ডলে ভরাট করে, যা অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের ভেতর থেকে অতিবেগুনী আলোর মধ্য দিয়ে বিভক্ত হয়, যা হাইড্রোজেনকে পালাতে দেয় মহাকাশ. এটা একই দৃশ্যকল্প যা শুক্র উপর স্থান গ্রহণ করা হয়েছে।

সেরা সুযোগ :
যাইহোক, ওয়াকফোর্ড বলছেন যে যখন সূর্য গ্রহের কোন প্রত্যক্ষ উপাদেয় আঁকানো কঠিন, ট্র্যাপিস্ট -1 "এখনও আমাদের নিজস্ব সৌরবিদ্যুতের বাইরে পৃথিবীর আকারের পৃথিবীকে অধ্যয়ন করার জন্য শ্রেষ্ঠ সুযোগকে প্রতিনিধিত্ব করে"।


Saturday, May 5, 2018

মাল্টিভার্স ও প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরি!

মাল্টিভার্স ও প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরি

স্ট্রিং থিওরির একটি অদ্ভূত ও চাঞ্চল্যকর প্রস্তাব হল মাল্টিভার্স থিওরি বা বহুবিশ্ব তত্ত্ব এবং প্যারলাল ইউনিভার্স বা সমান্তরাল মহাবিশ্ব।


স্ট্রিং থিওরিকে সবকিছুর থিওরি বলা হয়।এটি যেমন কোয়ান্টাম থিওরির মতো ক্ষুদ্র স্ট্রিংয়ের ধারনা দেয় তেমনি আপেক্ষিতার তত্ত্বের মতো বিশাল মাল্টিভার্সেরও ধারণা দেয়া থেকে আমাদের বঞ্চিত 
করেনি তাই বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষুদ্র আর সবচেয়ে বড় দুটো জগতই স্ট্রিং তাত্ত্বিকদের দখলে।
বর্তমানে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পেরেছি এযাবত আবিস্কৃত মহাবিশ্বের মোট ডায়ামিটার প্রায় 91 বিলিয়ান আলোকবর্ষ।এ পর্যন্তই আমাদের জানা ছিল।
কিন্তু এক্ষেত্রে স্ট্রিং থিওরি তার ক্ষেপাটে আর আগ্রাসী মনোভাব নিয়েই বলে দিল যে আমাদের ইউনিভার্স একা নয় এইরকম আরও অসংখ্য মহাবিশ্ব আছে।শুধু তাই নয় এই মহাবিশ্বের সংখ্যাও নাকি কমপক্ষে 10^500 টি(500টি 10 পরপর গুন করলে যত হবে)।
সংখ্যাটি এতই বড় মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদিকাল থেকে কেউ যদি এক সেকেন্ডে 1000 করে সংখ্যা গুনতে শুরু তবুও এই 13.82 বিলিয়ন বছরে মাত্র 10^20 টি সংখ্যা গুনতে সক্ষম হবে।
বিষয়টি সম্পর্কে ভালভাবে জানতে আমাদের সেই অতিক্ষুদ্র স্ট্রিংদের অতিমাত্রিক জগতে ফিরে যেতে হবে।
প্রতিটি কণিকার স্ট্রিংগুলো যেমন নির্দিষ্ট কম্পন আছে তেমনি আছে বিভিন্ন অতিমাত্রার ব্রেনে এদের বিভিন্ন বিন্যাস।স্ট্রিং তাত্ত্বিকেরা দেখলেন যে স্ট্রিং গুলোর এই বিন্যাস বিভিন্ন ধরনের হতে পারে আর এই বিন্যাসের সংখ্যাটা হলো 10^500 এরও বেশি।আর এই সংখ্যার উপর ভিত্তি করেই বলা হলো যে সমসংখ্যক মহাবিশ্ব আছে।
মোটকথা বিগব্যাং-এর সময় বা এর আগে-পরে ভিন্ন ভিন্ন স্ট্রিং বিন্যাসের কারণে ভিন্ন ভিন্ন মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছিল এবং এখনও হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
অর্থাৎ আমাদের মহাবিশ্বের স্ট্রিং বিন্যাস আর আমাদের আশেপাশের মহাবিশ্বগুলোর বিন্যাস আলাদা আলাদা।এইভাবে প্রায় 10^500-এরও অধিক বিন্যাস সম্পন্ন মহাবিশ্ব থাকতে পারে এবং সেখানকার নিয়মনিতীও ভিন্ন।এটাই হলো বহুবিশ্ব তত্ত্ব।

প্যারলাল ইউনিভার্স হলো একই বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন একাধিক মহাবিশ্ব।এতগুলো বিন্যাস সম্পন্ন মহাবিশ্বের মধ্যে একই বিন্যাস সম্পন্ন একাধিক মহাবিশ্ব থাকাটাই স্বাভাবিক।তাই যদি কোন মহাবিশ্বের স্ট্রিং বিন্যাস আমাদের মহাবিশ্বের বিন্যিসের সাথে মিলে যায় তবে সেখানে আমাদের মহাবিশ্বের মতোই একইরকম নিয়মনিতী সম্পন্ন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হবে।সেখানেও আমাদের সৌরজগতের মতো একটা সৌরজগতে আমাদের পৃথিবীর মতো আরেকটা পৃথিবী থাকবে এবং সেখানে আমার মতো কেউ একজন এই লেখাটি লিখেছিল আর আপনার মতো কেউ লেখাটি পড়ছে।আপনি হয়তোবা আপনির সেই সমান্তরাল ভাইটির কথা ভাবছেন এবং সেও আপনার কথা ভাবছে।
এইরূপ পরস্পর একই স্ট্রিং বিন্যাস যুক্ত মহাবিশ্বকে বলা হয় প্যারালাল ইউনিভার্স বা সমান্তরাল মহাবিশ্ব।
মাল্টিভার্স এবং প্যারালাল ইউনিভার্স নিয়ে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।জনপ্রিয় এনিমেশন মুভি সিরিজ ডোরেমোনের Parallel Universe নামের এক পর্বে দেখা যায় নবিতা তার সমান্তরালের সাথে দেখা করতে ডোরেমনের গ্যাজেটের সাহায্যে পাড়ি জমায় প্যারালাল ইউনিভার্সে।
হয়তোবা আমরাও একদিন আমাদের সমান্তরাল ভাই বা বোনটির সাথে বসে এক কাপ চা অথবা কফি খেতে পারব।


Friday, April 20, 2018

TIME TRAVEL(পদার্থবিজ্ঞানের আলোকে সময় ভ্রমণ)


পদার্থবিজ্ঞানের আলোকে সময় ভ্রমণ

সময় ভ্রমণ নিয়ে আমাদের কল্পনা কম নয়। এই ধারণাটাই আমাদের গায়ের লোম খাড়া করে দেয়। এই সময় ভ্রমণ নিয়ে আলোচনা করার মত অনেক দিক আছে। সম্ভব কিনা, সম্ভব হলে কোন দিকে (অতীতে নাকি ভবিষ্যতে) বা কীভাবে, ইত্যাদি। আমরা এখনো সময় ভ্রমণ সম্ভব করতে পারিনি। তবে এটা নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত কল্পনা করতে পারছি ঠিকই। আসুন, ঠিক তেমন কিছু দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করি।

"TIME TRAVEL ISN'T IMPOSSIBLE!
But we have to be much careful about it's consequences!"(MYIN)

পিতামহ স্ববিরোধ (Grandfather Paradox)


স্টিফেন হকিং একবার বলেছিলেন, ভবিষ্যৎ থেকে যদি কোনো আগন্তুক এসে থাকে, তবে তারা এখন কোথায়? হ্যাঁ, হকিং সময় ভ্রমণের কথাই বলেছেন, তবে একটু ভিন্নভাবে। ভবিষ্যৎ থেকে অতীতে, অর্থাৎ ভবিষ্যৎ থেকে আমাদের সময়ে আসার কথা বলা হচ্ছে, কারণ ভবিষ্যতের মানুষ টাইম মেশিন আবিষ্কার করে ফেলতেও পারে। অতীতে যে সেরকম কিছু হয়নি সেটা আমরা বেশ ভালোই জানি। তাই অতীতের মানুষগুলোর এখন তথা আমাদের এই সময়ে ভ্রমণ করতে আসার সম্ভাবনা পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া যায়। তবে বিজ্ঞানীরা কিন্তু অতীতের তুলনায় ভবিষ্যতে যাওয়ার বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দেন। তার একটি কারণ হচ্ছে পিতামহ স্ববিরোধ। এই স্ববিরোধে বলা হচ্ছে, কেউ যদি অতীতে গিয়ে তার পিতা জন্মাবার আগেই পিতামহকে হত্যা করে, তবে তো সব হিসাব-নিকাশই ওলটপালট হয়ে যাবে। বাবার বংশগতির ধারক সেই কেউ একজন তাহলে পৃথিবীতে এলো কীভাবে?

পিতামহ স্ববিরোধ আসলে কোনো সমস্যাই না, যদি মহাবিশ্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ঘটনাগুলোকে পূর্বনির্ধারিত ও অপরিবর্তনশীল ধরা হয়। বিষয়টিকে একটু বুঝিয়ে বলা যাক।

দেড় ঘণ্টার একটি সিনেমার কথাই ধরুন। আপনি সিনেমাটি দেখুন আর না-ই দেখুন, সিনেমার দৃশ্যের কোথাও কোনো পরিবর্তন হবে না। ধারণ করার পর যেভাবে চূড়ান্ত সম্পাদনা করা হয়েছে, ঠিক সেভাবেই থাকবে। অর্থাৎ আপনি কোনোভাবেই সিনেমার উপর আপনার নিজের প্রভাব খাটাতে পারবেন না।

সময়ে সংঘটিত ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আপনি অতীতে গিয়েও অবশ্যম্ভাবী কোনো ঘটনাকে পরিবর্তন করে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। যা ঘটার, তা ঘটবেই। আপনি হয়তো অতীতে গিয়ে আপনার পিতামহের সাথে কোনো এক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লেন এবং আপনার পকেটে রাখা রিভলবারটি বের করে ট্রিগারও চাপলেন। কিন্তু হয়তো দেখা যাবে, রিভলবারের গুলি শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা কোনো এক অজানা কারণে রিভলবারটি ঠিকমতো কাজ করছে না। অর্থাৎ আপনার পিতামহকে বাঁচানোর সকল বন্দোবস্ত যেন আগে থেকেই হয়ে রয়েছে!

আলোর চেয়ে বেশি বেগে ছোটার মাধ্যমে সময় ভ্রমণ

তাছাড়া আপেক্ষিকতার বিশেষ তত্ত্বে আলোর বেগ একটি সীমা নির্দেশ করে, যে সীমানাটাকে অতিক্রম করতে পারলে হয়তো সময়ের পেছনের দিকে যাওয়া সম্ভবপর হতে পারে। কিন্তু আজ অব্দি সে রকম কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি। আবার বিশেষ আপেক্ষিকতা তত্ত্বেরই আরেকটি সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে ভ্রমণ করে যদি ভ্রমণকারীর সময়ের গতিকে ধীর করে দেয়া যায়। ফলে আলোর বেগের কাছাকাছি বেগে সোজা মহাকাশের দিকে নভোযানকে চালিত করে যদি পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসা যায়, তবে পৃথিবীতে অতি অগ্রসরমান এক জীবন ব্যবস্থা দেখা যেতে পারে। নভোচারীর সম্পূর্ণ ভ্রমণের সময়কাল তার নিজের ঘড়ি অনুযায়ী যদি কয়েক দশক হয়, তবে পৃথিবীতে হয়তো শত বছর পার হয়ে যাবে। নভোচারী তার মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারায় পৃথিবীতে ফিরে তার রেখে যাওয়া সমাজ ব্যবস্থাকেই আশা করবে, যদিও সে দেখবে অন্য এক পৃথিবীকে। এটাকে “ভবিষ্যতে গমন” ছাড়া আর কীই বা বলা যেতে পারে?

মহাকর্ষের মাধ্যমে সময় ভ্রমণ

সময়ের সাথে মহাকর্ষের একটা দড়ি টানাটানির মত সম্পর্ক। মহাকর্ষ যত বেশি, সময় তত ধীরে চলবে। আর মহাকর্ষ কম হলে সময় চলবে অপেক্ষাকৃত দ্রুত। তাই, কৃষ্ণগহ্বরের কাছাকাছি কোনো জায়গায়, যেখানে মহাকর্ষ অনেক বেশি, সেখানে অবস্থান করলে দেখবেন পৃথিবীর চেয়ে আপনার সময় অনেক ধীরে কেটেছে। ধরুন, আপনার কাছে মনে হচ্ছে একদিন পেরিয়েছে। ওদিকে পৃথিবীতে চলে গেছে শত বছর। অর্থাৎ, কৃষ্ণগহ্বরের কাছাকাছি গিয়েও সময় ভ্রমণের অনুরূপ অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। এটা মূলত মহাকর্ষজনিত সময় প্রসারণের ফল।

সমান্তরাল মহাবিশ্বে ভ্রমণের মাধ্যমে সময় ভ্রমণ


চিরায়ত পদার্থবিদ্যা এমন যে, কিছু সূত্র, স্বীকার্য আর গাণিতিক নিয়মের অধীনে কোনো একটি ঘটনার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, অথবা ঘটনার পূর্ববর্তী অবস্থাটি কী ছিলো, সেটা নিশ্চিতভাবে বলে দেয়া যায়। অর্থাৎ চিরায়ত পদার্থবিদ্যার জগত হচ্ছে নিশ্চয়তার জগত।
আমাদের শরীর অসংখ্য কণার সমষ্টি। চিরায়ত পদার্থবিদ্যা অনুসারে এসকল কণার প্রতিটি চলাচলও পদার্থবিদ্যার নিয়ম অনুসারে পূর্বনির্ধারিত। ফলে আমাদের নিজেদের স্বাধীন ইচ্ছাকেও অনেক সময় জলাঞ্জলি দিতে হয়। অপরদিকে কোয়ান্টাম তত্ত্বে, বিশেষ করে হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তার নীতি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। এখানে প্রকৃতি এবং পর্যবেক্ষক – উভয়ই একটি সিস্টেমের অংশ এবং এদেরকে আলাদা করে দেখার কোনো অবকাশ নেই। ফলে পূর্বনির্ধারণ বা কঠোরভাবে অপরিবর্তনশীলতার কোনো সুযোগ এখানে নেই।
কোয়ান্টাম তত্ত্বানুসারে বহু মহাবিশ্বের (Multi universe) সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বাতিল করে দেয়া যায় না। বহু মহাবিশ্বের ধারণা থেকেও অতীত ভ্রমণের যৌক্তিকতা তুলে ধরা যায়। এক্ষেত্রে আপনি অতীতে গেলেন এবং আপনার পিতামহকে হত্যাও করলেন – কোনো সমস্যা নেই। তবে ঘটনাটি ঘটবে কোনো এক সমান্তরাল মহাবিশ্বে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু সময় ভ্রমণ করলেই চলবে না, স্থানকেও অতিক্রম করতে হবে। আপনি অন্য একটি মহাবিশ্বে গিয়ে আপনার পিতামহের মিরর ইমেজকে হত্যা করলে আপনার পিতার মাধ্যমে সেই মহাবিশ্বে আপনার জন্ম হবে না। তবে সেখানেও আপনার অস্তিত্ব থাকবে ভবিষ্যৎ থেকে আগত এক ঘাতক হিসেবে, যিনি অমুক নামের এক লোককে হত্যা করেছেন।

স্থান-কালকে বাঁকিয়ে দেয়া সিলিন্ডারের সাহায্যে সময় ভ্রমণ


১৯৩৭ সালে স্কটিশ পদার্থবিদ ভ্যান স্টকাস টাইম মেশিন সম্পর্কিত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন, যেখানে তিনি সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বকে ব্যবহার করেন। তিনি ঘনত্বপূর্ণ ও অসীম দূরত্ব পর্যন্ত বিস্তৃত একটি ঘূর্ণায়মান (এর মূল অক্ষ সাপেক্ষে) সিলিন্ডার কল্পনা করেছিলেন, যেটা ঘূর্ণনের সাথে এর আশপাশের স্থান-কালকেও এর সাথে ঘুরতে বাধ্য করবে। ঐ ঘূর্ণায়মান কালের মধ্যে প্রবেশ করে অতীতে চলে যাওয়া সম্ভব। স্টকাসের মতে, এভাবে যাত্রা শুরুর আগেই যাত্রা শুরুর পূর্বের সময়ে চলে যাওয়া সম্ভব হবে। চিন্তাটি ছিলো কাল্পনিক, যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক।

কীটগহ্বর (Worm Hole) এর মাধ্যমে সময় ভ্রমণ

সময় ভ্রমণের আরো একটি তাত্ত্বিক সম্ভাবনা হচ্ছে ওয়ার্মহোল বা কীটগহ্বর। ওয়ার্মহোল হচ্ছে অতি অল্প সময়ে মহাজাগতিক দূরত্ব অতিক্রম করার এক তাত্ত্বিক সম্ভাবনা, যেটার কথা আইনস্টাইন ও নাথান রোজেন ১৯৩৫ সালে প্রথম বলেন, এবং যেটা পরিচিত ছিলো আইনস্টাইন-রোজেন ব্রিজ নামে।
পঞ্চাশের দশকে বিশিষ্ট পদার্থবিদ জন হুইলার ওয়ার্মহোল নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা করেন এবং “ওয়ার্মহোল” শব্দটির উৎপত্তি ঘটান। ওয়ার্মহোলকে যদিও আমরা মহাকাশ ভ্রমণের সংক্ষিপ্ততম পথ বলেই জানি, তবুও কিপ থর্নের গবেষণার মাধ্যমে সময় ভ্রমণের বিষয়টিও উঠে আসে। কার্ল সেগান তার “কন্ট্যাক্ট” বইয়ের কাজ করার সময় লেখার প্রয়োজনেই বন্ধু কিপ থর্নের সাথে যোগাযোগ করেন এবং ওয়ার্মহোল নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা করার অনুরোধ করেন। তখন আইনস্টাইনের তত্ত্বে বিশেষজ্ঞ যে কয়জন বিজ্ঞানী ছিলেন, কিপ থর্ন ছিলেন তাদের একজন। সেগানের অনুরোধে থর্ন ওয়ার্মহোল নিয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য বের করে আনতে সক্ষম হন। তবে এই ওয়ার্মহোল ঠিক আমরা যেরকম চিন্তা করি সেরকম অর্থাৎ এর প্রবেশমুখ ও বহির্মুখ পরস্পরের সাপেক্ষে স্থির হলে চলবে না।

ওয়ার্মহোলের মাধ্যমে সময় ভ্রমণ

কেননা এক্ষেত্রে সময় একই হারে চলবে। কিন্তু যদি বহির্মুখ সাপেক্ষে প্রবেশমুখকে গতিশীল করা যায় (এবং এতে একটি সময় পার্থক্য তৈরি হবে) তবে সময় ভ্রমণ সম্ভব হতে পারে। ওয়ার্মহোল একটি তাত্ত্বিক বিষয়। বাস্তবে যদি ওয়ার্মহোল থাকেও, তবুও কোয়ান্টাম অস্থিরতার জন্য সেটা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে উঠবে। কিপ থর্নসহ অনেক বিজ্ঞানী ওয়ার্মহোলের স্থিতি প্রদানের জন্য উত্তেজক পদার্থের কথা বলেন, যেগুলোর ঋণাত্মক শক্তি থাকায় মহাকর্ষ বিরোধী ক্রিয়াও আছে। হিসাব করে দেখা গেছে, ১ মিটার চওড়া একটি ওয়ার্মহোলকে স্থির রাখার জন্য সূর্যের ১০ বিলিয়ন বছরেরও অধিক সময়ে উৎপাদিত শক্তির সমান ঋণাত্মক শক্তির যোগান দিতে হবে!

উপসংহার

উপরের আলোচনা পাঠকদের কাছে বাস্তবতাবর্জিত কল্পকাহিনী মনে হতে পারে এবং সেটাই স্বাভাবিক। কেননা, সময় ভ্রমণ করার মতো প্রযুক্তির আশপাশে আমরা এখনও পৌঁছুতে পারিনি। তবে আমরা যখন সময় ভ্রমণ নিয়ে কথা বলি, তখন মূলত সুপ্রতিষ্ঠিত কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সামনে রেখেই সেটা বলে থাকি। ফলে সময় ভ্রমণ সংক্রান্ত আলোচনা বিজ্ঞানের বাইরের কোনো বিষয় নয়। সময়কে যেহেতু বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত করা গেছে সেহেতু সময় ভ্রমণ বিষয়টাও আপনা আপনিই বিজ্ঞানের আওতায় চলে আসে।


সময় ভ্রমণ আদৌ সম্ভবপর হবে কীনা অথবা হলেও কবে হবে, সেটা আমাদের পক্ষে এখনই জানা সম্ভব নয়। তবে সময় ভ্রমণ তত্ত্বীয় বিজ্ঞানের অংশ হওয়ায়, এটা নিয়ে গবেষণা অব্যাহত থাকবে। সুদূর ভবিষ্যৎ থেকে হয়তো কোনো আগন্তুক নিভৃতে অতীত ভ্রমণে এসেছিলেনও, তবে সেটা আমাদের সময়ে নয়, আরো বহু বহু পূর্বের কোনো এক সময়ে, যার কোনো প্রমাণ আমাদের হাতে নেই।

Writer:Md Mahamud mahamudulislam2000@gmail.com
Editor:MYIN
basrimyin@gmail.com

INTERDIMENSIONAL TRAVEL(উচ্চ মাএায় ভ্রমণ!)


উচ্চ মাএায় ভ্রমণ!!!

তাও আবার সম্ভব নাকি?আরে নাহ যত্তসব মুভির কাহিনী...থাম,আসলে তুমি ভুল ভাবছ!

"EVERYTHING IS POSSIBLE WHEN THERE IS A POSSIBILITY & PROBABILITY"(Myin)!

Interdimensional Travel নিতান্তই আবাস্তব কিছু না কারণ এটা সম্ভব এবং এটা প্রতিনিয়ত ঘটছে আমাদের মহাবিশ্ব এ!আমরাও পারবো তবে আরো অনেক উন্নত প্রযুক্তির বদৌলতে।


আইনস্টাইন তার সাধারণ আপেক্ষিকতার তও্বে দেখান যে মহাকর্ষের বল সৃষ্টি হয় স্থান ও কালের বক্রতার কারণে। স্থান কালের নিয়ম যদি অন্য রকম হত তাহলে মহাকর্ষের নিয়ম ও অন্য রকম হত। স্থান কালের জ্যামিতি হল স্থান কালের মৌলিক বিষয়। ধরুন আমরা যদি সময়কে বাদ দিয়ে বিভিন্ন ধরণের মহাবিশ্বের কথা চিন্তা করি তাহলে সেখানেও দেখা যাবে এই স্থানের ভিন্নতার কারণে প্রকৃতিক নিয়ম গুলো অন্য রকম হচ্ছে।

এই ভিন্ন নিয়ম থেকে একটি জিনিস কিন্তু আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে, তা হল উচ্চ মাএার নিয়ম গুলো আরো সহজ হয়ে যাবে। আমরা উচ্চ মাএার যত গভীরে যাব সব কিছু তত সহজ হয়ে যাবে।একদম মিনারেল ওয়াটারের মত😂😂। এক সময় আমরা দেখব যাকে অসম্ভব কাজ বলে মনে করতাম তাও কিন্তু অনেক ইজি হয়ে যায় আমাদের জন্য। অনেকে মনে করবে আমি বা আমরা জাদু জানি কিংবা আমাদের অপ্রকৃতিক সওা আছে। এখন চলুন আমরা নিজেদেরকে উচ্চ মাএায় চিন্তা করি। ধরুন আমি দেওয়ালে হাটতে পারি। আবার কষ্ট করে গিয়ে দরজা খুলার দরকার নেই, দেওয়ালের ভেতর দিয়েই অন্য দিকে পার হয়ে যায় অনায়সে।তার মানে আমাদের বাড়ীতে প্রবেশ করতে গেইট কিংবা দরজা প্রয়োজন নেই দেওয়ালের ভেতর দিয়েই পারাপার হওয়া যাচ্ছে।

অথবা আমি কষ্ট করে গাড়ী চালিয়ে পাহাড়ের ওপর না ওঠে এর ভেতর দিয়েই চলাচল করতে পারি।এমন কোন জীবের কথা চিন্তা করা যাক যে বাতাসের সাথে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে আবার এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে পারে। মনে করুন আপনার এক্স-রে রশ্নিতে সেন্সরের মত চোখ আছে।যেখানে আপনি অন্য দেশের সব বার্তা আপনার চোখের সামনে দেখতে পাবেন।

আপনারা হয়ত চিন্তা করতেছেন এগুলো কেবল সাইন্স ফিকশান মুভিতে সম্ভব,বাস্তবে এগুলো কোন ভাবেই সম্ভব না!আসলে এগুলো সবই সম্ভব। উচ্চ মাএার কোন জীবের ক্ষেএে এগুলো সবই সম্ভব। আমাদের শুনতে অবিশ্বাস হলেও আসলে এটি সম্ভব।

তাহলে উদাহরণ দেওয়া যাকঃ-

মনে করুন আপনি 2 মাএায় বসবাস করেন।ধরুন আপনি জেলে বন্ধি।এখন  আপনার চারপাশে যদি একটি দাগ টেনে দেওয়া হয় তাহলে আপনি কিন্তু তার থেকে বের হতে পারবেন না।কারণ আপনি ২মাএায় বাসবাস করেন যাক কারণে আপনি ঐ দাগের মধ্যেই সীমাবদ্ব। এখন যদি ৩য় মাএার কোন জীব আপনাকে ঐ জেল থেকে তুলো এনে বের করে নামিয়ে দিতে পারবে।এবার জেলের জেলারের কথা ভাবুন। সে ভাববে জেল থেকে একজন আসামি শূন্যে হাওয়া হয়ে গেল এবং অন্য জায়গায় দূশ্যমান হল।এবার যদি আমারা তাকে বুঝাতে চাই আমরা তাকে জেল থেকে এনে বাইরে বের করেছি। সে কিন্তু আমাদের কথার কোন অর্থই বুঝবে না। কারণ সে দ্বিমাএিক জগতের শব্দকোষের ওপর বলে কোন শব্দ নেই।

আরেকটি বিষয় লক্ষ্য করুন।আমরা কিন্তু দ্বিমাএিক জীবদের অঙ্গ প্রত্যঙ্গই সব কিছুই দেখতে পাব।তারা দেখলে শুধু সামনের দিকটা দেখবে কিন্তু পেছনের দিকটা দেখা সম্ভব নয়।আমরা এিমাএিক জীবদের তাদের দেহের গঠন ও ভপতরের হ্রদপিন্ড থেকে শুরু করে সব কিছুই দেখা সম্ভব।ফলে কোন দ্বিমাএিক বস্তুর কোন জীবকে ত্বক না কেটেই সার্জারি করতে পারব।আমরা যদি দ্বিমাএিক জীবকে তাদের মাএার বাইরে নিয়ে এসে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরিয়ে আবার তাদের জগতে নিয়ে যায় তাহলে তাদের বাম পাশের হ্রদপিন্ড ডান পাশে চলে আসবে।

সো দ্বিমাএিক জগতের কোন ডাক্তারো বুঝবে না এটা কীভাবে সম্ভব।
দ্বিমাএিক জগতের দৃষ্টিতে অবশ্যই এিমাএিক জগৎ সর্বশক্তিমান হবে।

তেমনিভাবে চারমাএিক জীবের ক্ষেএে আমাদের দুনিয়ার দেওয়াল ভেদ করে আসা একদম সোজা।তেমনিভাবে তার ও আমাদের হাটা চলা থেকে শুরু করে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখতে পাবে। চারমাএিক কোন জীবের জন্য কোন কিছু বাধা হবে না। তাকে আমরা আটকিয়েও রাখতে পারব না।এগুলো নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে।

এই উচ্চ মাএার নিয়মের ভেতর একটি তথ্য আছে যা আমাদের মহাবিশ্বকে বুঝতে সাহায্য করবে।আর এই বিষয়টি আজকাল উচ্চ শক্তির পদার্থ বিজ্ঞানে গবেষণায় খুবই সফলভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।এসবের পেছনে মূল উপলব্ধিটি হল উচ্চ মাএার প্রকৃতির নিয়ম গুলো অনেক সহজ হয়ে যায়

Writer:Md Mahamud mahamudulislam2000@gmail.com
Editor:MYIN
basrimyin@gmail.com 


Tuesday, April 17, 2018

Escape Velocity(গল্পে গল্পে মুক্তিবেগ)!

 ESCAPE VELOCITY বা মুক্তিবেগ নিয়ে আলোচনা!



বর্তমানে  IPL খেলা চলতেছে(২০১৮)। এখন ধরুন কোন ক্রিকেট প্লেয়ার যদি ওপরের দিকে বল মারে তখন তা মাটিতে ফিরে আসে।এর কারণ অভিকর্ষ বল। একটি প্রচলিত কথা আছে WHAT GOES UP MUST COME DOWN. যে কোন কিছুই ওপরে ছুড়ে মারা হোক না কেন তা মাটিতে ফিরে আসবে। যদি প্লেয়ারটি আর একটু জোরে বলটি ওপরে মারে তাহলে একটু দেরিতে বলটি নিচে নেমে আসবে।যদি আর একটু  জোরে বলটি মারে তাহলে আরো একটু দেরিতে বলটি মাটিতে ফিরে আসবে। ব্যাটসম্যান যদি মিস্টার ইউনিভার্স😂😂 নিয়ে বলটি মারে তাহলে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসবে না। এর কারণ কোন একটি বস্তু যদি নির্দিষ্ট বেগে(Escape Velocity) ওপরে পাঠানো হয় তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসবে
 না।

তো মুক্তি বেগটা আসলে কী?

মুক্তিবেগ (ইংরেজীঃ Escape velocity) বলতে এমন একটি বেগকে বুঝানো হয় মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে যে মানের বেগে নিক্ষিপ্ত কোন বস্তুর গতিশক্তি ও মহাকর্ষীয় বিভবশক্তির সমষ্টি শুন্য হয়। মুক্তিবেগে কোন বস্তুকে কোন মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র থেকে শুন্যে ছুড়ে দেয়া হলে তা আর ঐ মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রে ফিরে আসে না।
পৃথিবীর ক্ষেত্রে, পৃথিবীর বাইরে কোন বস্তু পাঠাতে হলে সেকেন্ডে ১১.২ কি.মি বা ৭ মাইল/সেকেন্ড অথবা ২৫০০০ মিটার/ঘণ্টা বেগে বস্তুটিকে গতি অর্জন করতে হবে।
 রকেট বা স্পেসশীপ যদি তৈরি করা হয় তাহলে মাথায় মুক্তিবেগের কথাটি মাথায় রেখেই এগুলো তৈরি করা হয়।প্রথমিক ভাবে কোন রকেটকে পৃথিবীর বাইরে পাঠাতে হলে তার বেশি গতিতে পাঠানো হয়। তা না হলে what goes up must come down কথাটি সত্যি হয়ে যাবে। 

বিভিন্ন গ্রহ,উপগ্রহ ও নক্ষত্রের মুক্তিবেগ



  • সূর্য : ৬১৭.৫
  • বুধ: ৪.৩
  • শুক্র: ১০.৩
  • পৃথিবী: ১১.২
  • চাঁদ(পৃথিবীর উপগ্রহ): ২.৪
  • মঙ্গল: ৫
  • বৃহঃপতি : ৫৯.৬
  • শনি: ৩৫.৬
  • ইউরোনাস: ২১.৩
  • নেপচুন: ২৩.৮
  • প্লুটো: ১.৮
  • গ্যানিমিড(বৃহঃপতির উপগ্রহ এবং সব উপগ্রহের বড় ভাই):২.৭


মুক্তিবেগ নির্ণয়ের সূএ:



এখানে,
G=( মহাকর্ষীয় ধ্রুবক 6.673*10^-11) Nm^2kg^-2
M=কোন গ্রহ বা নক্ষএের ভর।
r=radius বা ব্যাসার্ধ
খেয়াল করে দেখুন,
মুক্তিবেগ কিন্তু বস্তুর ভরের বা mass এর উপর নির্ভর করেনা মানে বড় ছোট সকল বস্তুর ক্ষেত্রে তা একি থাকবে!

Thursday, April 12, 2018

EVERYTHING IS GREATER THAN OR EQUAL TO 3D!

DIMENSIONS OF PARTONS & STRING!
MY THINKING
MATHEMATICS & REALITY 


Please all my friends try to understand this post about dimensions of partons and strings and try to answer all my questions or help me by your informative comments.


"Partons are 0D but they are the main fundamental things which are responsible for the formation of 1D Strings and thus they are the root of everything"(Matrix Theory)
So, If strings are formed by some 0D partons and those strings are the 1D vibrating thing by which everything formed then we must think about this 0D partons.Shouldn't we???
How something(Partons) can exist which have 0D? Without any dimensions how it can exist? 

We generally say,
Spots have no dimensions!
Isn't it wrong?
If I see that spot by a microscope I will find three dimensions in it like length, width and height.I think everything must have to be almost 3D or more than that but not less than 3D because if you observe that 1D & 2D or 0D objects by a telescope you will find it's hight and weight and length.So actually all are >=3D not <=0D.Shouldn't it???
So can't we or shouldn't we have to say that all strings and partons are >=3D?

♦Paramountcy(Absolute) and Relativity completely different things and they can define anything in two way, one is absolute and the other is relative(not actual or absolute).
♦Which is more important for us relative value or absolute value?
Relative value is not much harder to find out like absolute value because truth is harder to find out.It's like that.I think ,relative value should to receive less priority than absolute value from both theorists and mathematicians.
♦Mathematics can do anything it like where others can't do anything because of the restrictions from it's ownself!!!!
Mathematics can prove everything wheather it's right or wrong,wheather it is true or faulty,wheather it is real or unreal.
Some proofs....

MATHEMATICS IS THE KING & PHYSICS IS THE QUEEN IS PHYSICS.

2+2=5.         1=2.             infinity D 
2+2=4.         <3D.             Partons(0D)
2+2=100.      >=3D           Strings(1D)

So everything is possible by Math wheather it exist or not,it can be or can't be like Strings and Partons....None would be able to visualize any String and partons ever to prove them they are exist and they have 1D but Mathematics have done it 30 years ago.....
1D and 0D is mathematically possible for String theory and it's proven but my question is,
"Why mathematics isn't working here with reality or absolute dimensions rather it's worked with relative and unreal dimensions for strings and partons!!!!!!!"
Anything can't be <=3D in reality wheather it's a tiny subatomic particles or parons of that.


Myin
The follower of QM&ST

আমি মনে করি সবকিছুই ত্রিমাত্রিক!!!(=>3D)

[স্ট্রিং থিওরি এবং ম্যাট্রিক্স থিওরি তে মাত্রা এবং আমার ধারনা]


আগেই বলে রাখি আমি Einstein নয় তাই আমার ধারনা অনেকের কাছে হাস্যকর মনে হতে পারে কিন্তু একটু ভাল করে ভেবে পড়ুন তাহলে আমার ধারনার
স্পষ্ট নকশা আপনি পেয়ে যাবেন....
So let's start
I THINK EVERYTHING IS >=3D



চলুন আজ আপনাকে ভাবনার অন্য এক জগতে নিয়ে যায়!!
মানুষকে আমি CHON(C,H,O,N) হিসাবেই চিনি। এবার এই মৌলগুলোর ভিতরে প্রবেশ করুন এবং আপনি পাবেন কিছু  Molecules এবং আরো গভীরে যান এরপর আপনি পাবেন Atom এবং এরপর Proton,Neutron,Electron এবং এরপর আরো গভীরে যান, এবার আপনি পাবেন Quarcks। এরপর আরো যান, এবার পাবেন Strings এবং তারপর পাবেন Partons!
এভাবে আর কত গভীরে যাওয়া যাবে তা অন্তত আমি জানিনা।তবে Partons হচ্ছে Matrix theory এর একটা মূল কণা যাকে 0D ধরা হয় এবং Strings হচ্ছে String Theory এর অন্যতম ভিত্তি যাকে 1D ধরা হয়।

এখন আমার প্রশ্ন হলো 

♦কোনো কিছু কী <3D(1D,2D,0D & Negative D) হওয়া আসলেই কি সম্ভব???
♦আপেক্ষিক ভাবে সম্ভব কিন্তু পরম ভাবে ত এইটা একটা চরম ভুল নয় কী??
♦বাস্তব জীবনে কি আমরা আপেক্ষিকতাকে নাকি পরম মানকে বেশি প্রাধান্য দিব??
♦যদি আপেক্ষিক মানকে বেশি প্রাধান্য দি তাহলে কি আপেক্ষিকতার আড়ালে পররম যে বাস্তবতা তা সুপ্ত র‍য়ে যাচ্ছে না???
♦আমি কী বলতে পারিনা যে পকৃতির সবকিছুই,
>=3D but not <3D
আমার সাথে কি আপনারা একমত???
আমি মনে করি যে কোনোকিছুই <3D হওয়া সম্ভব নয় এমনকি একটা সূক্ষ সুতা বা তার বা মাকড়সার জাল ও নয়!
একবার ভাবুন,
যখন আপনি মাকড়সার জালকে Microscope এর নিচে রাখবেন তাহলে  আপনি এইটাকে একটা মোটা বস্তু হিসেবেই দেখবেন যার l,b,h (Length, Width, Height) এই তিনটা Dimensions বা মাত্রা থাকবে।
এইরকম সবকিছুকে যখন আপনি Microscope বা Though Experiment এর মাধ্যমে যাচাই করবেন আপনি কি তিনটা মাত্রা পাবেন না?আমি মনে করি অবশ্যয় পাওয়া উচিত যদিও উচ্চ মাত্রার বস্তুগুলো Calibo Space সৃষ্টি করে।
আমার মতে 0D বা (-)D এর কোনো বস্তু আসলেই সম্ভব না কারণ টা আপনারাই যানেন।0D এবং -D এর বস্তু যথাক্রমে Negative mass এবং Massless বস্তুর ধারনার মত।তাই আমার মতে Partons এবং Strings এর এই অবাস্তব,আপেক্ষিক,Mathematical ধারনার পরিবর্তন করে Realistic,Absolute,Physical ধারনা বা >=3D but not <3D এই ধারনা গ্রহণ করা উচিত।
Mathematically আসলে সবই সম্ভব...যেমন:
১=২।                     ১ মাত্রা              আমি=আপনি
২+২=১০০।            ০ মাত্রা               বাবা=মা
৩+৩=৭।                 (-) মাত্রা    Existence of God!


"তাই আমার মতে Math হচ্ছে রাজা,Physics হচ্ছে রানী এবং Geometry হচ্ছে সৈন্য For the battle field of Science in this Universe.
এইক্ষেত্রে রাজার আপেক্ষিকতার পরাজয় এবং সৈন্য Geometry ও রানী  Physics এর পরমতার জয় হওয়া উচিত"!
"আমার মতে আপেক্ষিকতাকে পরমতার পরে স্থান দেওয়া উচিত তাহলেই বস্তুর বাস্তবিকতা প্রকাশ পাবে!বাস্তব জীবনে তাই Relativity should have to get less priority than paramountcy or reality".(Myin
)


♠Thanks for reading♠





EXTRATERRESTRIAL OR ALIEN LIFE REALLY EXIST!

A research conducted by me about Extraterrestrial life by collecting 20 best questions from some of my diverse ideological friend  in Facebook.

All my friends
I got so many questions and get inspiration from some interested mind about the mysterious phenomena of Aliens and other extraterrestrials.
In this post I have given those questions and proof of extraterrestrial life from historical,scientific and religious view.
HOPE YOU WILL ENJOY THIS POST

Thanks a lot guys for helping me with your inquisitive and curious mind.

This questions are given below....


1.How can we know the physical structure of Aliens and how can we be sure about their existence??(@Binita)2.Why most of the Aliens picturess are like human shape?(Aragon)
3.If we want to make an UFO what will be the components?(@Aragon)
4.Does God created Alien species?(@Lisa)
5.Are Aliens inferior than us?(@Lisa)
6.Does God like them or like us?(@Lisa)
7.Is there really any Alien or extraterrestrials or it's just hoax?(@HCL)
8.Are they wise and their technology is much more super than us?(@Soni)
9.Where are they?(@Asif)
10.Why they are not communicating with us?(@Asif)
11.Is their any Aliens in Earth or all the news are fake?(@Hiya)
12.Can you prove there were Aliens and they ruled us once in Earth?(@Ryan)
13.What they look like?(@Ryan)
14.What's the view of religious holy books like Quran and Bible about extraterrestrial life?(@Myin)
15.What's the view of string theory about Alien?(@Myin)
16.Why we should to believe in Alien existence?(@Myin)
17.How Alien were created?(@Myin)
18.How many species  of Extraterrestrials are surviving in this Universe or out of this Universe? (@Myin)
19.Why Alien explored Earth in prehistoric era and why they left Earth?(@Myin)
20.Is it real that, Area-51 and some other organizaions are conducting research on Extraterrestrial life and they claimed that they had caught some Aliens and UFO too and researching about Aliens biological and physical structure and trying to find out Aliens civiliztion!?(@Myin)

EXTRATERRESTRIAL LIFE OR ALIEN DOES EXIST!

Those who don't believe in Alien existence or any extraterrestrials you should to first believe in "String theory, some historical evidence, some religious scriptures and some of my logic too".

Why we should to believe in Alien existence?

♦Scientific logic............... ♦

If u believe or not String theory is the best theory for today's world and it confirmed the existence of Alien theoritically. Strings are 10^(-33)cm and everything controlled by the alignment of strings into them.This alignment of Strings are responsible for all kilter around us and out of us.According to string theory there are so many Universe(Parallel Universe) and their are 10^(500) different types of universe which can be geometrically both analogous like our Universe  or varient or reverser than our universe. So thinks a bit deeper.In this vast Universe there are so many Galaxy and many many stars and uncountable pleanets.Now when you will think for 10^(500) Universe than you can't escape except believeing Extraterrestrial or Aliensexistence because from this all universe can't it be possible to exist some Extraterrestrials planet? Of courses!why not?


♦ Now come to some historical proof...♦

 Once Alien ruled us especially in Egypt and Mayan civilization and some other places.Alien ruled Egypt for Gold which was most needy in their planet for their spacecraft to make interstellar travels and they also helped Egyptians in the revolutionary progress of their technology.Later Alien left us because of the increasing density of population and Egyptians though Aliens as God and  worship them.Thus Aliens helped us and ruled us but some says that Shiva defated all alien races and that's why they left us.There are some stone work or epigraphic works and historical evidence of Egyptians and Mayans for this.

♦ Now come to the religious proof......♦

 Quran,Bible and Gita and some religious scriptures described Alien civilizations.
 Quran described Aliens physical structure and their existence in outer space and their civilization too.Again Quran says it can be possible to meet with them if God wishes otherwise it can't be.Aaccording to some of mine Christian friends,who are very truth seeker and intelligent,claimed that,"In Bible Shatan are one species of Aliens and Aliens have no physical form rather they have nothing but spiritual form.Actually didn't believe this prediction of Bible where Gita also predicted the physical form of Aliens and says that Shiva had defeated the Alien ethnicities and that's why Alien left us.

I didn't explain exhaustively rather I explail here in summarized succinct way.I think it's perfect,congenial and appropriate  for believing in Alien existetence for those who contradict and clamor against the existence of Aliens and other Extraterrestrials.
Now you can ask me any questions regarding this topic and you can show your proof too against my post if you have such proof.

SOME REFERENCES


  • http://www.endphysics.com/aliens_in_the_quran.html
  • https://www.alislam.org/library/books/revelation/part_4_section_7.html
  • https://www.ucg.org/the-good-news/extraterrestrial-life-what-does-the-bible-say
  • https://churchpop.com/2014/12/30/verses-conspiracy-aliens/
  • https://www.openbible.info/topics/aliens
  • http://www.crystalinks.com/Mahabharata.html
  • https://www.quora.com/What-do-the-Vedas-or-Hindu-Scriptures-say-about-aliens-Is-there-any-explanation-or-reference-to-aliens-anywhere-in-Vedas-or-in-any-other-sacred-texts-of-Hinduism


Thanks you guys
Myin


BIGBANG এর পূর্বে কী ছিল?

WHAT'S BEFORE BIG BANG?
হুম খুবই মজার একটা প্রশ্ন.....


আসল কথা হলো আপনি যদি Big Bang এর আগের অবস্থা বুঝতে চান তবে আপনাকে আগে Big Bang কী তা বুঝতে হবে!সোজা কথায় এবং যথার্থ সংঙ্গা হলো,Big Bang মানে Singularity(স্থানকালের অনন্যতা) থেকে স্থানকালের প্রসারণ(Expansion of spacetime)

BEFORE BIGBANG

এই বিষয়টা বুঝলেই হলো...দেখুন Singularity মানে হলো স্থানকালের অনন্যতা (অথ্যাৎ ক্ষুদ্র একটা বিন্দুতে স্থানকালের Density অসীম) এবং Big Bang এর প্রধান শর্ত হলো এই Singularity.
Singularity মানেই যদি স্থানকালের অনন্যতা হয় তাহলে এইটা বুঝতে আশাকরি আর দেরী হচ্ছেনা যে singularity এর জন্ম অন্য কোন Universe এর Contraction এর ফসল কারণ Singularity হতে হলে স্থানকালের দরকার যা অবশ্যয় অন্য কোন Universe এর সংকোচনের ফল!আর ওই Universe টার জন্ম হয়েছিল অন্য একটা Singularity থেকে এবং ওই singularity টার জন্ম অন্য কোন Universe এর সংকোচনের ফল!
এভাবে চলতেই থাকবে......কখনো থামবেনা!

At last এইটাই বলতে পারেন,
এটা একটা চলমান পক্রিয়া এবং Big Bang এর পূর্বের অবস্থায় Singularity ছিল অথবা দুইটা Brane এর সংঘর্ষ হয়েছিল!
এই কারণেই আমি Parallel Universe এর ধারণাতে চরমভাবে সমর্থন করি

Thanks a lot for reading 
Myin
Aspiring Astronaut