চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্ধকার ইতিহাস!
আমাদের চারপাশের ঝাঁ চকচকে সভ্যতার পেছনেই রয়েছে নিকষ অন্ধকার। এবং আশ্চর্যজনকভাবে এই আলোকোজ্জ্বল সভ্যতা বিনির্মাণে সেই অন্ধকারটুকুর অবদানও কম নয় মোটেই।তাই আজ জানবো চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে রচিত হওয়া অন্ধকার ইতিহাস এর গল্প!
অক্টোবর ১০, ১৮২৪। লন্ডনের হাসপাতালের বিছানায় নিথর হয়ে শুয়ে থাকা ভদ্রলোক টের পেলেন কান্নার আওয়াজ; সেইসাথে কানে গেল নার্সের অস্পষ্ট উচ্চারণ, "তিনি আর নেই।" একটু পরেই তিনি অনুভব করলেন কবরে নামানো হচ্ছে তার কফিন, মাটি দেয়া হচ্ছে তার ওপর। তিনি প্রাণপণে চেষ্টা করলেন কিছু করার। কিন্তু না, তার দুর্বল শরীর আর এঁটে থাকা কফিন কোনো সুযোগই দিল না তাকে। এবার তিনি ভাবলেন, হয়তো সত্যিই মরে গেছেন।
ঠিক একই সময়ে রাতের অন্ধকারে শবযাত্রা অনুসরণ করছিল দুজন লোক, কালো কাপড়ে সর্বাঙ্গ মোড়ানো। অন্তেষ্টিক্রিয়া শেষে জায়গাটা ফাঁকা হতেই কাজে নেমে পড়লো তারা। ১৫ মিনিটের মধ্যেই কফিন থেকে বের করে আনলো দেহটা।
ব্যবচ্ছেদ কক্ষে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে গতরাতে আনা নতুন দেহটা রাখা হলো টেবিলে। চারপাশে উৎসুক চিকিৎসা বিজ্ঞানের নবীন শিক্ষার্থীরা। ডেমনস্ট্রেটরের ছুরিটা শবের চামড়া ভেদ করে পাঁজরে আঘাত করতেই বিপত্তিটা ঘটলো। মৃতের সারা শরীরে বিদ্যুতের মতো কম্পন খেলে গেল, সেই সঙ্গে ভয়ঙ্কর চিৎকার। ব্যাপার দেখে ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে গেল ব্যবচ্ছেদ কক্ষের শিক্ষার্থীরা।
না, এটা কোনো হরর মুভির কাহিনী নয়। ঘটনাটা সম্ভবত সত্যিই ঘটেছিল লন্ডনে, ১৮২৪ সালে এবং বর্ণনাটা সেই জীবন্ত লাশ হয়ে যাওয়া লোকটার জবানীতেই পাওয়া যায়। আর যেহেতু মৃত্যু নিশ্চিত হবার কোনো আধুনিক পদ্ধতি তখন ছিল না, তাই এমন ভুল মাঝে মধ্যেই ঘটতো। তবে আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তু সেটা না, বরং আজকের বিষয় সেই দুজন লোক, যারা শবযাত্রার পিছু নিয়েছিল এবং মৃতদেহটি বিক্রি করেছিল কোনো এক মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগে।
অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দতে লন্ডন এবং তার আশেপাশে বেসরকারি মেডিকেল স্কুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এসব স্কুলের জনপ্রিয়তার কারণ ছিল মূলত সত্যিকার মানবদেহ ব্যবচ্ছেদের সুযোগ। কিন্তু সমস্যা হলো সে সময় সবার মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদের অনুমতি ছিল না। কেবল মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের দেহই সরকারি মেডিকেল স্কুলগুলোতে দেয়া হতো। সপ্তদশ শতকের বিখ্যাত এনাটমিস্ট ওয়ার্নার রলফিংক একাজে এত প্রবাদতুল্য ছিলেন, যে অপরাধীরা 'rolfincked' হবার হাত থেকে বাঁচতে চাইতো। সে যাই হোক, মৃতদেহের চাহিদা বাড়লেও সে সময় মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছিল। ফলে বাধ্য হয়েই এনাটমির শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা বেছে নেন এক অবৈধ পথ। সেই সঙ্গে রচিত হয় অন্ধকার জগতের নতুন অধ্যায়, শব বাণিজ্য।
শবচোরদের লাশ চুরির পদ্ধতি ছিল মূলত দুরকম। সরাসরি কবর খুঁড়ে লাশ বের করা। অথবা কবর থেকে ১৫/২০ ফুট দূরে গর্ত করে সেখান থেকে সুরঙ্গ তৈরি করে লাশ বের করা। এর একটা সুবিধা ছিল খুব ভালো করে খেয়াল না করলে কারো তেমন সন্দেহ হতো না। তবে তাদের পরিচয় সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা যায়না। তারা বিভিন্নজনের কাছে বিভিন্ন পরিচয়ে ব্যবসা করতো। তাদের মধ্যে জোসেফ ন্যাপল নামক একজন নিয়মিত ডায়েরি রাখত। তার ডায়েরির ২টি পৃষ্ঠা এরকম--
13th January 1812
Took 2 of the above to Mr Brookes & 1 large & 1 small to Mr Bell. Foetus to Mr Carpue. Small to Mr Framton. Large small to Mr Cline. Met at 5, the Party went to Newington. 2 adults. Took them to St Thomas’s.
26th August 1812
Separated to look out, the party met at night…Willson, M. & F. Bartholm, me, Jack and Hollis went to Isl [ingto]n. Could not succeed, the dogs flew at us, afterwards went to [St] Pancr [a]s, found a watch planted, came home.
সেসময় লাশ চুরির ঘটনা এতটাই নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে চুরির হাত থেকে প্রিয়জনের দেহ বাঁচাতে নানারকম ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়। কবরস্থানগুলোতে পাহারা বসানো হয়, কাঠের কফিনের বদলে লোহার কফিন ব্যবহার শুরু হয়, কবরের ওপর লোহার কাঠামো বসানো হয়। অনেক গোরস্থানে 'মর্ট হাউস' নামে বিশেষ জায়গা ছিল, যেখানে মৃতদেহগুলো পঁচে যাবার আগ পর্যন্ত পাহারা দিয়ে রাখা হতো। কিছু ব্যবস্থা ছিল আরো ভয়ঙ্কর। কবরস্থানে তৈরি করা হতো 'বুবি ট্র্যাপ', অনেকটা ল্যান্ড মাইনের মতো; আর কিছু কিছু কফিনে থাকতো স্প্রিং লোডেড গান, কফিন খুললেই ছুটে যেত গুলি।
না, এবার আর চুরি নয়। খুন। এই অন্ধকার ইতিহাসের ভয়াবহতম ঘটনাটি ঘটেছিল ১৮২৭ সালে, উইলিয়াম বার্ক ও উইলিয়াম হেয়ারের হাতে।বার্ক স্কটল্যান্ডে ঝুট কাপড়ের ব্যবসা করতো আর হেয়ার তার বাড়ি ভাড়া দিত। হেয়ারের একজন ভাড়াটে হঠাৎ মারা গেলে তারা দুই বন্ধু তার দেহ বিক্রি করে ভাড়ার টাকা উসুল করার পরিকল্পনা করে। দেহটা তারা ৭ পাউন্ডের বিনিময়ে বিক্রি করেছিল এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জন ডা. রবার্ট নক্সের কাছে। ডা. নক্স তাদের বলেছিলেন পরবর্তীতে আরো দেহের খোঁজ পেলে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে।
অফারটা লুফে নিয়েছিল তারা। আরো একজন ভাড়াটে মহিলা কলেরায় আক্রান্ত হলে তারা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তার দেহ ডা. নক্সের কাছে বিক্রি করে ১০ পাউন্ডে, যেহেতু দেহটি অক্ষত ছিল। ১৮২৮ সালে গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা দুজন মিলে মোট ১৬ টি দেহ ডা. নক্সকে সরবরাহ করেছিল। আরো একটা দেহ লুকানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাদের বাড়িতে। তারা মূলত তাদের ভাড়াটেদের এবং কিছু বাইরের লোককে ঘুমন্ত অবস্থায় বা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতো, পদ্ধতিটার নামই পরবর্তীতে হয়ে যায় 'Burking'। এলাকায় রীতিমতো আতংক তৈরি হয়েছিল তাদের কর্মকাণ্ডে।
হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডা. নক্সের সম্পৃক্ততা সামনে চলে আসে। পরে অবশ্য তাঁকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়। উইলিয়াম বার্ককে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় আর হেয়ার কিছুদিন পর জেল থেকে পালিয়ে বেঁচে যায়। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বার্কের দেহটি এডিনবারা বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়া হয় ব্যবচ্ছেদের জন্যে। আর ব্যবচ্ছেদটি হয়েছিল পাবলিক ডিসেকশন থিয়েটারে, জনগণের উপস্থিতিতে। তার রক্ত ব্যবহার করে একটা চিঠি লেখা হয়, তার কঙ্কাল প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয় আর তার চামড়া দিয়ে একটা বই বাঁধাই করা হয় আর একটা ওয়ালেট তৈরি করা হয়। বার্কের ডেথমাস্ক ও সেই ওয়ালেট এডিনবরার Surgeons’ Hall Museum এ সংরক্ষিত আছে।
১৮৩১ সালে 'লন্ডন বার্কার' নামে আরো একটা গ্রুপ ধরা পড়ে, যারাও একই রকম কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিল। সমসাময়িক কালে আরো সাতটি চক্র ধরা পড়ে, যারা লাশ চুরির সাথে জড়িত ছিল। ধারণা করা হয় প্রায় দুই শতাধিক চক্র একাজে সম্পৃক্ত ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে, যেহেতু লাশ চুরির শাস্তি ছিল খুব সামান্য কিছু জরিমানা বা ক'মাসের জেল। জনগণ ফুঁসে উঠতে থাকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। অবশেষে ১৮৩২ সালে পার্লামেন্টে 'Anatomy act' পাস হয়, যেখানে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীদের পাশাপাশি বেওয়ারিশ লাশ ও স্বেচ্ছায় দানকৃত দেহ ব্যবচ্ছেদের অনুমতি দেয়া হয়। ফলে আগের তুলনায় বৈধ মৃতদেহের সরবরাহ অনেকটাই বেড়ে যায়। সেই সাথে কমে যায় শবচোরদের দৌরাত্ম্য।
শববাণিজ্য প্রাথমিকভাবে যুক্তরাজ্য ও স্কটল্যান্ডে শুরু হলেও তা ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন দেশে।
মৃত্যুর ফেরিওয়ালা: আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ
শবদেহ ব্যবচ্ছেদ আমেরিকায় আইনত ও সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ ছিল। এনিয়ে ডাক্তারদের বিভিন্ন সময় জনগণ ও সরকারের রোষানলে পড়তে হয়। ১৭৬২ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম শিপেন ব্যবচ্ছেদের ওপর একটি লেকচার দিয়েছিলেন। পরে ১৭৬৫ সালে একটা গীর্জার কবরস্থান থেকে লাশ চুরি গেলে তাঁকে দায়ী করে উত্তেজিত জনতা তাঁর বাড়িতে আক্রমণ করে। নিউইয়র্কের সিটি হাসপাতালের ডিসেকশন রুমের পাশে খেলার সময় একদল ছেলে একজন মহিলার মৃতদেহ দেখতে পায়, যেটা ছিল তাদের এক বন্ধুর মায়ের, যিনি সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। ঘটনাটি ছেলেটির বাবাকে জানানো হলে সে দলবলসহ হাসপাতালে হামলা করে, যেটি Doctors' Riot নামে পরিচিত। জনগণকে শান্ত করার জন্য মৃতদেহের খোঁজে ডাক্তার, প্রফেসর ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করা হয় ও অনেককে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়। কিছুদিন পর জনগণ সেখানেও হামলা করে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ডাক্তারদের সুরক্ষিত রাখার নির্দেশ দিলে হামলাকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয় এবং এতে ৩ জন হামলাকারী নিহত হয়।
.
১৭৭০ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক জন ওয়ারেন "Spunkers" নামে একটি গুপ্ত এনাটমি সোসাইটি তৈরি করেন, যারা বিভিন্ন জায়গা থেকে মৃতদেহ সংগ্রহ করে ব্যবচ্ছেদ করতেন। ১৮২৪ সালে ডা. চার্লস নলটন অবৈধ ব্যবচ্ছেদের দায়ে গ্রেফতার হন। দু'মাস পর ছাড়া পেয়ে তিনি জনগণের মধ্যে মরণোত্তর দেহদানের বিষয়ে কুসংস্কার দূর করার জন্য ডাক্তারদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
.
লাশ চুরির বিষয়ে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভ তখনো অব্যাহত ছিল। ১৭৬৫ থেকে ১৮৮৪ পর্যন্ত ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর প্রায় ২৫টি হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা থেকে বাদ যায়নি মেরিল্যান্ড কিংবা ইয়েলের মতো নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। সবকিছু মিলিয়ে একটা আইন প্রণয়ন জরুরি হয়ে পড়েছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্রে 'Anatomy act' বা 'Bone bill' পাস হয়।
.
ইতিহাসের শেষ অংশটা আমাদের নিজের। বিগত প্রায় ২০০ বছর ধরে বিশ্বের শব ও কঙ্কাল বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে কলকাতা, যদিও ১৯৮৫ সালে ভারত সরকার মানবকঙ্কাল রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে। ১৮৫০ এর দশকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ বছরে প্রায় ৯০০ কঙ্কাল প্রক্রিয়াজাত করতো বিভিন্ন দেশে রপ্তানির জন্য। ১৯৮০'র দশকে কেবল পশ্চিমবঙ্গেই বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারের শববাণিজ্য হত। ২০০৭ সালে পুলিশ বর্ধমান থেকে শতাধিক কঙ্কালসহ একটি চক্রকে আটক করে, যারা জেলার বিভিন্ন মুসলিম কবরস্থান থেকে লাশ চুরি করতো। ২০০৯ সালে বিহারে কামাল শাহ নামে আরো একজন গ্রেপ্তার হয় ১০টি মাথার খুলি ও ৬৭টি পায়ের হাড়সহ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা কঙ্কালগুলো মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি পাচার করত ভারত, নেপাল ও ভুটানের বৌদ্ধ মঠগুলোতে, যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খুলিগুলো পানপাত্র আর ফিমারগুলো 'Blow-horn' হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া ভারতীয় তান্ত্রিক সমাজেও রয়েছে মানবকঙ্কালের ব্যাপক চাহিদা।
.
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও আসাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের অনেকগুলো চক্র কঙ্কাল চোরাচালানের সাথে জড়িত। ধারণা করা হয় প্রতিবছর প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার কঙ্কাল চীন, নেপাল, বাংলাদেশ, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পাচার হয়। ভারতে কঙ্কালগুলো গড়ে প্রায় ৩০০ ডলারে বিক্রি হয়, যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে তার দাম হয় প্রায় ৭০০ থেকে ১৫০০ ডলার। অবশ্য দাম নিয়ে মতভেদ রয়েছে। গতবছর এপ্রিলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গ থেকে ১৫টি কঙ্কালসহ দুজন গ্রেপ্তার হবার পর একটি সংবাদমাধ্যম রাজশাহীর একজন পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে জানায় ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা অস্থিগুলো মাত্র ৪/৫ হাজার টাকায় সংগ্রহ করা হয়।
.
বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগ মেডিকেল শিক্ষার্থী পুরনো কঙ্কাল ব্যবহার করেন। অল্প কিছু শিক্ষার্থী কৃত্রিম কঙ্কাল ব্যবহার করেন। আর বাকিরা বিভিন্ন মেডিকেল স্টোর, মেডিকেল কলেজের ডোম বা অন্যান্য চোরাচালান চক্রের কাছ থেকে কঙ্কাল সংগ্রহ করেন। প্রতিবছর ২০০-৩০০ কঙ্কাল দেশের বাইরেও পাচার হয়। সে হিসেবে দেশে মোট কঙ্কালের চাহিদা বছরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার, যার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে পাচার হয়ে। বাকিগুলো বিভিন্ন কবর থেকে বা মেডিকেল কলেজ মর্গের বেওয়ারিশ লাশ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
No comments