DARWIN WAS WRONG ABOUT US!-আমরা বানরজাতীয় প্রাণির বংশধর নয়!
আমরা বানরজাতীয় প্রাণির বংশধর নয়!!!
জেনে নাও ডারউইনের বিবর্তনবাদের ভুল ও অযৌক্তিক দিকগুলো...
জেনে নাও ডারউইনের বিবর্তনবাদের ভুল ও অযৌক্তিক দিকগুলো...
জানার আছে অনেক কিছু.....Let's Read
It's Totally Wrong ! |
Evolution isn't true,
because if we evolved from monkeys, how can they still be here?
because if we evolved from monkeys, how can they still be here?
বিবর্তনবাদ তত্ত্ব(Theory Of Evolution)অনুসারে পৃথিবীতে সমস্ত জীবজগতের আবির্ভাব হয়েছে একটি সরল এককোষী জীব থেকে– যা “সাধারণ পূর্বপুরুষ” নামে পরিচিত। আর এই এককোষী ব্যাক্টেরিয়ার মতো জীবের আবির্ভাব নাকি হয়েছিল কেমিক্যাল বিবর্তন প্রক্রিয়ায়। প্রাকৃতিক নির্বাচন (Nature Selection-Survival Of The Fittest)যেখানে যারা যোগ্য তারা পরিবেশে উদ্দেশ্যহীনভাবে টিকে থাকে;অন্যদিকে দুর্বল বা অনুপোযুক্তদের বিলুপ্তি হয়। এর মাধ্যমে কালের প্রক্রিয়ায় (মিলিয়ন বছর টাইম স্কেলে) উদ্দেশ্যহীন ও দৈবক্রমে অজৈব পদার্থ থেকে জীবের মৌলিক উপাদান- ডিএনএ ও প্রোটিন তৈরী হয়। তারপর এগুলো মিলিয়ন-মিলিয়ন বছর ধরে ট্রায়াল-এন্ড-এরর (Trial and error) প্রক্রিয়ায় কোনক্রমে হঠাৎ করে জোড়া-তালি লেগে হয়ে যায় এককোষী ব্যাক্টেরিয়ার মতো জীব বা আমাদের আদি-পিতা!
সেই এককোষী জীব থেকে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে উদ্দেশ্যহীনভাবে ও দৈবক্রমে অপরিকল্পিত মিউটেশনের (আকস্মিক জীনগত পরিবর্তন) মাধ্যমে ধাপে ধাপে তৈরী হয়েছে পৃথিবীর সমস্ত প্রজাতি। ডারউইনের সময়ে বিজ্ঞানের অগ্রগতি আজকের মতো ছিল না। সে সময় জীবকোষকে অত্যন্ত সরল মনে করা হতো – ডিএনএ আবিষ্কার তো দূরের কথা। তাই বিজ্ঞানী হিসেবে তার তত্ত্বের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হিসেবে ডারউইন বলে গেছেন যে তার তত্ত্ব প্রমাণের জন্য জীব সৃষ্টির পর্যায়ক্রমিক ধাপ বা ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ দেখাতে হবে। প্রায় ১৬০ বছর ধরে এই স্বপ্নের ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজের ফসিল সন্ধানে পৃথিবীর যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কল্পিত “ট্র্যানজিশনাল স্পিসিজ” বা “মিসিং লিঙ্ক”(Missing Link) এর টিকিটিরও সন্ধান পাওয়া যায়নি। যুক্তিবাদের খ্যাতিরে বলা যায় এদের সংখ্যা পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রজাতির সংখ্যা থেকে অনেক অনেক গুণ বেশী থাকার কথা। আর তাই বর্তমানে বিবর্তনবাদীরা ফসিল আলোচনা থেকে বিরত থাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করে। আর ব্যাখ্যা হিসেবে দেখায় নিও-ডারউইনিজমকে – বিভিন্ন প্রজাতির মধ্যে জেনেটিক সিকোয়েন্সের মিলের সামঞ্জস্যতাকে (Genetic Relatedness or Homology).
কিন্তু মিডলিকি নামের এক জীবাশ্মবিদ তার দীর্ঘ গবেষণায় প্রমাণ করেছে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির উদ্ভব সম্ভব নয়। ২০০০ সালে হোমো হ্যাবিলিস (মেরুদণ্ডের উপর সোজা দাঁড়াতে অক্ষম) প্রজাতির একটি চোয়াল এবং হোমে ইরেকটাস (মেরুদণ্ডের উপর সোজা দাঁড়াতে সক্ষম) প্রজাতির একটি সম্পূর্ণ খুলির উপর এই গবেষণা চালানো হয়। এই গবেষণায় এই তত্ত্ব বেরিয়ে আসে যে, হোমে হ্যাবিলিস ও হোমে ইরেকটাস উভয় প্রজাতির বানর ১৫ লাখ বৎসর পূর্বে আফ্রিকায় একই সময় বিচরণ করেছে এবং এদের আয়ু ছিল ৫ লাখ বৎসর। প্রাচীন এই প্রজাতি দু’টি একই সময় বসবাস করলেও একে অন্যকে এড়িয়ে চলতো। কারণ হোমো হ্যাবিলিস ছিল নিরামিষাশী (তৃণভোজী) আর হোমে ইরিকটাস ছিল গোশত ভোজী। তাহলে এটা প্রমাণিত হয় যে, ডারউইনবাদে বর্ণিত হোমো হ্যাবিলিস থেকে হোমো ইরিকটাসের প্রবর্তনের তত্ত্বটি ছিল ভুল। ডারউইনের মতবাদে বলা হয়েছিল যে, হোমো হ্যাবিলিস থেকে হোমো ইরিকটাসের প্রবর্তন হয় এবং হোমো ইরিকটাস থেকে হোমো স্যাপিয়ান্স (মানুষ) প্রবর্তিত হয়। এই গবেষণায় সে মতবাদ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। কারণ হোমো হ্যাবিলিস (বানর) এবং হোমো ইরিকটাস (সিমপ্যাঞ্জি) একই সময় পৃথিবীতে বিচরণ করে থাকলে কি করে একে অন্য থেকে প্রবর্তিত হতে পারে।
এবার একটা মজার বিষয় বলি! বিবর্তনবাদ এর ইনপুট এ একটি কালো শিম্পাঞ্জি পরবর্তিতে আউটপুটে গিয়ে একটি সাদা মানুষে পরিনত হচ্ছে! কৃঞাজ্ঞ থেকে সরাসরি শেতাঙ্গ তে পরিনত হয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানিদের যুক্তি, বানরজাতীয় প্রাণির সাথে মানুষের জীনগত মিল ৯৮% তাই বানর এবং মানুষ একটি কমন জিনোম থেকে উদ্ভব হয়েছে। অর্থাৎ ডিএনএ টেস্ট (ডিএনএ এর মিল থেকে প্রমাণ) করে যেমন সন্তানের বাবার পরিচয় পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি মানুষের ডিএনএ এই মিল প্রমাণ করে আমরা বানরজাতীয় প্রাণির বংশধর। আসলে কি তাই, গাণিতিক ভাবে প্রমাণ করা যায় এই মিল কখনো প্রমাণ করে না আমরা বানরজাতীয় প্রাণির বংশধর; বরং এ মিল থাকাটাই স্বাভাবিক।
যেমন ডিএনএতে চারটি ক্ষার পাওয়া যায়, এগুলো হল এডেনিন (সংক্ষেপে A), সাইটোসিন (C), গুয়ানিন (G) এবং থাইমিন (T) । এই চারটি ক্ষার বা বেস দ্বারা তৈরি হয় ডিএনএ কোডিং,যার মধ্যে জীবের সকল প্রকার বৈশিষ্ট্য লিপি বদ্ধ থাকে। অর্থাৎ যেন ৪ টি অক্ষর দ্বারা রচিত এমন এক বিশাল দিক নির্দেশনা, যার দ্বারা পরিচালিত হয় একটি জীবের সমগ্র জীবন, শুধু তাই নয় উক্ত জীবের পরবর্তী বংশধরও পরিচালিত হয় উক্ত নির্দেশনায় (সামান্য কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে)। আর সকল প্রাণের ক্ষেত্রে এই ডিএনএ কোডিং এর রয়েছে এক অভূত পূর্ব মিল। যেমন- বানরজাতীয় প্রাণির সাথে আমাদের ডিএনএ কোডিং এর মিল ৯৮%; আর বিজ্ঞানিরা এই সাদৃশ্য কেই পুঁজি করে জেনেটিক প্রমাণ দিয়ে থাকে আমরা বানরজাতীয় প্রাণির বংশধর। আসলেই কি এই মিল প্রমাণ করে আমরা বানরজাতীয় প্রাণির বংশধর, আমি আসলে এটিই গাণিতিক ভাবে দেখাতে চেষ্টা করব।
মনে করুন, কেউ একটি বিশাল প্রেমের কাব্য রচনা করলো ইংরেজি ভাষায়; আর একজন বিবর্তনের সাপেক্ষে বিজ্ঞানের যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করে একটি বিশাল বই লিখলও একই ভাষায়। যদিও ২ টি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়, তথাপি লিখা হয়েছে ইংরেজি A থেকে Z পর্যন্ত ২৬ টি অক্ষর দিয়ে; তাই বইগুলোর সমগ্র অক্ষর গুলোকে একটি সরিতে এনে একটির নিচে আর একটি রাখলে দেখা যাবে যে অনেক মিল রয়েছে। যেহেতু ২টি বই-ই লিখা হয়েছে ইংরেজিA থেকে Z পর্যন্ত ২৬ টি অক্ষর দিয়ে (যদিও ডিএনএ কোডিং মিলানো এরকম না)।
উদাহরণ স্বরূপ,
UCEP-Amir Hossain Dobash School = এটি একটি স্কুলের নাম ও
With due respect I would like to inform = এটি অ্যাপ্লিকেশনের শুরুর অংশ।
U C E P A M I R H O S S A I N D O B A S H S C H O O L
W I T H D U E R E S P E C T I W O U L D L I K E T O I
এখনে লক্ষ্য করে দেখুন, ৮ নং কলামে R-R, ১৭ নং কলামের O-O এবং ২৬ নং কলামের O-O অক্ষর গুলো মিলে গেছে। এখানে মোট অক্ষর আছে ৫৪টি এবং এদের মধ্যে মিল রয়েছে ৬টি অক্ষরের, তাহলে এখানে সাদৃশ্যের শতকরা হার প্রায় ১১%।
তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, বিষয় বস্তু ও ভাবার্থ যাই হোক; যেহেতু একই প্রতীক ব্যবহার করে তথ্য গুলো লেখা হয়েছে, তাই তাদের মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
এবার একটু ভিন্ন আঙ্গিকে ভেবে দেখুন, উপরের ২টি বই ইংরেজি ২৬টি প্রতীকের পরিবর্তে মাত্র ২টি প্রতীক ব্যবহার করে লিখেছেন। যেমন কম্পিউটার ০ (শূন্য) আর ১ (এক) ছাড়া কিছুই বোঝেনা। অর্থাৎ সকল কার্য সম্পূর্ণ করে 0 ও 1 ব্যবহার করে। ধরুন আপনি কিবোর্ড এর “A” Key তে ক্লিক করেছেন, কিন্তু প্রসেসর যে ডাটাটি পাবে তাহলো ৮ বিটের একটি বাইনারি ডাটা 01000001। এভাবে A থেকে Z পর্যন্ত প্রতিটি অক্ষরের জন্য ৮ বিটের একটি বাইনারি ডাটা রয়েছে। তাই আপনি মহাকাব্য রচনা করলেও কম্পিউটারে 0 ও1 ই সংরক্ষিত হবে।
★
আপনি লিখলেন (MONKEY), কিন্তু কম্পিউটার লিখবেঃ-
(01001101 0100111101001110 01001011 01000101 01011001)।
M= 01001101;
O= 01001111;
N= 01001110;
K= 01001011;
E= 01000101;
Y= 01011001;
★
আপনি লিখলেন (HUMAN), কিন্তু কম্পিউটার লিখবেঃ-
(01001000 01010101 01001101 01000001 01001110)।
H= 01001000;
U=01010101;
M= 01001101;
A= 01000001;
N= 01001110;
প্রথমত:
M O N K E Y
H U M A N
এখন আমরা যদি, উপরোক্ত ভাবে অক্ষর গুলোকে সাজায় তাহলে, কোন কলামের ডাটা গুলোর মধ্যে কোন মিল নেই; এক্ষেত্রে সাদৃশ্য ০%।
কিন্তু,
0100110101001111010011100100101101000101 01011001
0100100001010101010011010100000101001110
বাইনারির ক্ষেত্রে ডাটা গুলোর সাদৃশ্য ৬৩.৬৩% (যদি Y এর বাইনারি ডাটা বিবেচনা করি); Y কে বাদ দিলে মিল ৭০%।
দ্বিতীয়ত:
M O N K E Y
M A N H U
যদি মিলের জন্য, উপরোক্ত ভাবে অক্ষর গুলোকে সাজায় তাহলে, সাদৃশ্য ৩৬.৩৬% (যদিK কে বিবেচনা করি); K কে বাদ দিলে সাদৃশ্য ৪০%।
কিন্তু,
0100110101001111010011100100010101011001
0100110101000001010011100100100001010101
এক্ষেত্রে বাইনারির ডাটা গুলোর সাদৃশ্য ৭২.৭২%% (যদি K এর বাইনারি ডাটা বিবেচনা করি); K কে বাদ দিলে সাদৃশ্য হবে ৮০%।
এ থেকে এটা প্রমাণিত হয় যে, বিষয় বস্তু ও ভাবার্থ যাই হোক; যদি কোন তথ্য অল্প কয়েকটি প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তাহলে তাদের মধ্যে সাদৃশ্য থাকবে অনেক বেশি।
সুতরাং জীবের ডিএনএ এর ডাটা যেহেতু ৪ টি প্রতীক দ্বারা রচিত (সবসময় AT ও CG জোড় তৈরি করে, সুতরাং বইনারি ২ বিট এর সাথে সামঁজস্যপূর্ণ), তাই তাদের মধ্যে সাদৃশ্য থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে এই মিল কোন ভাবেই প্রমাণ করে না আমরা বানরজাতীয় প্রাণির বংশধর। আর যেহেতু সকল প্রাণীর জৈবিক প্রক্রিয়া (বিষয় বস্তু ও ভাবার্থ) একই তাই ৯৮% মিল থাকাটাই যুক্তি যুক্ত (কিন্তু ২% অমিল যে কত কোটি জেনেটিক লেটারস্ এর অমিল তা হয়ত অাপনাদের জানা আছে)৷ এটা আমার কথা নয় গণিতের প্রমাণ।
Theory Of Evolution Is Wrong About Us |
বি.দ্রঃ-স্পেস জনিত সমস্যার কারণে অক্ষর ও বাইনারি ডাটা গুলো কিছুটা স্থানচ্যুত হয়ে গেছে, তাই সাদৃশ্য গুলো স্পষ্ট করে বুঝা নাও যেতে পারে।
No comments